২৭) নতুন কাপড় পরিধান করার পূর্বে আগুনে ছেক দিয়ে পড়তে হবে।
২৮) নতুন কাপড় পরিধান করার পর পিছনে তাকাইতে নাই।
২৯) চোখে গোটা হলে ছোট বাচ্চাদের নুনু ছোয়ালে সুস্থ হয়ে যায়।
৩০) আশ্বিন মাসে নারী বিধবা হলে আর কোন দিন বিবাহ হবে না।
৩১) ঔষধ খাওয়ার সময় ‘বিসমিল্লাহ বললে’ রোগ বেড়ে যাবে।
৩২) রাতের বেলা কাউকে সুই-সূতা দিতে নাই।
৩৩) গেঞ্জি ও গামছা ছিঁড়ে গেলে সেলাই করতে নাই।
৩৪) খালি ঘরে সন্ধ্যার সময় বাতি দিতে হয়। না হলে ঘরে বিপদ আসে।
৩৫) গোসলের পর শরীরে তেল মাখার পূর্বে কোন কিছু খেতে নেই।
৩৬) মহিলার পেটে বাচ্চা থাকলে কিছু কাটা-কাটি বা জবেহ করা যাবে না।
৩৭) পাতিলের মধ্যে খানা থাকা অবস্থায় তা খেলে পেট বড় হয়ে যাবে।
৩৮) বিড়াল মারলে আড়াই কেজি লবণ দিতে হবে। কিন্তু যেসব প্রাণী আমাদের ক্ষতি করে না ঐসব প্রাণী মারা জায়েয নয়।
৩৯) বাচ্চাদের শরিরে লোহা বা তাবিজ থাকতে হবে। তবে, কোনো জিন্নাতের আছর বা মুখ দোষ হলে কোরআন শরীফ ও হাদীস শরীফে বর্ণিত দোয়া সাথে থাকাতে দোষের কিছু নয়। এটা বাধ্যতামূলক নয়।
৪০) রুমাল দিলে ঝগড়া হয়। ছাতা, হাত ঘড়ি ইত্যাদি ধার দেয়া যাবে না।
৪১) হোঁচট খেলে মনে করা ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে।
৪২) হাত থেকে প্লেট পড়ে গেলে মেহমান আসবে।
৪৩) নতুন স্ত্রী কোন ভাল কাজ করলে শুভ লক্ষণ।
৪৪) নতুন স্ত্রীকে নরম স্থানে বসতে দিলে মেজাজ নরম থাকবে।
৪৫) কাচা মরিচ হাতে দিতে নাই।
৪৬) তিন রাস্তার মোড়ে বসতে নাই।
৪৭) রাতে নখ, চুল ইত্যাদি কাটতে নাই। এটা সতর্কতা মূলত নিষেধাজ্ঞা।
৪৮) রাতে কাক বা কুকুর ডাকলে বিপদ আসবে।
৪৯) শকুন ডাকলে, বিড়াল কাঁদলে মানুষ মারা যাবে। পেঁচা ডাকলে বিপদ আসবে।
৫০) কাউকে ধর্মের ভাই-বোন, বাবা-মা ডাকলেই আপন হয়ে যায়, পর্দা লাগে না।
৫১) তিনজন একই সাথে চলা যাবে না।
৫২) নতুন স্ত্রীকে দুলা ভাই কোলে করে ঘরে আনতে হবে। নিরেট বেহায়াপনা।
৫৩) একবার মাথায় টাক খেলে দ্বিতীয় বার টাক দিতে হবে, নতুবা সিং উঠবে।
৫৪) খানা একবার নেওয়া যাবে না, দুই-তিন বার নিতে হবে।
৫৫) নতুন জামাই বাজার না করা পর্যন্ত একই খানা খাওয়াতে হবে।
৫৬) নতুন স্ত্রীকে স্বামীর বাড়িতে প্রথম পর্যায়ে আড়াই দিন অবস্থান করতে হবে।
৫৭) পাতিলের মধ্যে খানা খেলে মেয়ে সন্তান হয়, পেট বড় হয়।
৫৮) পোড়া খানা খেলে সাতার শিখবে।
৫৯) পিপড়া বা জল পোকা খেলে সাতার শিখবে।
৬০) দাঁত উঠতে বিলম্ব হলে সাত ঘরের চাউল উঠিয়ে রান্না করে কাককে খাওয়াতে হবে এবং নিজেকেও খেতে হবে।
৬১) সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই ঘর ঝাড়– দেয়ার পূর্বে কাউকে কোন কিছু দেয়া যাবে না।
৬২) রাতের বেলা কোন কিছু লেন-দেন করা যাবে না। এটা সতর্কতা মূলক।
৬৩) সকাল বেলা দোকান খুলে নগদে বিক্রি না করে কাউকে বাকী দেয়া যাবে না।
৬৪) দাঁড়ী-পাল্লা পায়ে লাগলে বা হাত থেকে নিচে পড়ে গেলে চুমা করতে হয়, দোকানের টাকার বাক্স সকালে চুমা করতে হয়। গাড়ি/রিক্সা সালাম করে চালান শুরু করতে হয়।
৬৫) শুকরের নাম মুখে নিলে ৪০দিন মুখ নাপাক থাকে।
৬৬) রাতের বেলা কাউকে চুন ধার দিলে চুন না বলে দই বলতে হয়।
৬৭) বাড়ি থেকে বের হলে রাস্তায় যদি হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় তাহলে যাত্রা অশুভ হবে।
৬৮) ফসলের জমিতে মাটির পাতিল সাদা-কালো রং করে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
৬৯) বিনা ওযুতে বড় পীর আবদুল কাদের জিলানীর নাম নিলে আড়াইটা পশম পড়ে যায়।
৭০) নখ চুল কেটে মাটিতে দাফন করতে হয়। এটা সম্ভব হলে করা যায়। অন্যথায় এটা নিয়ে অনর্থক ঝগড়া ফ্যাসাদ করার প্রয়োজন নেই।
৭২) মহিলারা হাতে বালা বা চুড়ি না পড়লে স্বামীর অমঙ্গল হয়।
৭৩) স্ত্রী নাকে নাক ফুল না রাখলে স্বামী বাচে না।
৭৪) দা, কাচি বা ছুরি ডিঙ্গিয়ে গেলে হাত-পা কেটে যাবে। ছোট বাচ্চা ডিঙ্গিয়ে গেলে লম্বা হয় না।
৭৫) গলায় কাটা বিঁধলে বিড়ালের পা ধরে মাপ চাইতে হয়।
৭৬) লেন দেনের জোড় সংখ্যা রাখা যাবে না। এক লক্ষ হলে একলক্ষ-এক টাকা ধার্য করা।
৭৭) দোকানের প্রথম কাস্টমার ফেরত দিতে নাই।
৭৮) পুরুষ ছেলের রাগ দমন করার জন্য কান ছিদ্র করা।
৭৯) পায়ে মেহেদি ব্যবহার করা উচিত না।
৮০) হজ্ব থেকে ফেরত আসলে ৪০ দিন ঘরে বসে থাকতে হয়। এক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা নেই।
৮১) আকিকার গোস্ত বাবা-মা খেতে পারবে না।
৮২) সমাজের বেশি ভাগ মানুষ যা করে তাই সঠিক মনে করা।
৮৩) পীর না ধরলে মুক্তি পাওয়া যাবে না। তবে পীরের নীতিমালা ও নির্দেশনা কোরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী হয়, তবে মুক্তি পাওয়া যাবে।
৮৪) নতুন ঘর, ব্যবসা শুরু করতে মিলাদ দিতে হয়। তবে দিলে ফায়দা হবে। বরকতময় হবে। মিলাদ না দিয়ে নতুন ঘরে ঢুকা যাবে না বা দোকান খোলা যাবে না, এমন নয়।
৮৫) খাতনা করলে, কলেমা পড়লেই মুসলান হয়, প্রতিদিন নামাজ লাগে না। এগুলো ভন্ডামি।
৮৬) শুক্রবার জুমার নামাজ পড়লেই চলে প্রতি দিন নামাজ লাগেনা। এগুলো ভন্ডামি।
৮৭) যুবক বয়সে নামাজ লাগে না, নামাজ বুড়াদের জন্য। এগুলো শয়তানি 😈।
৮৮) মৃত ব্যক্তির জন্য চল্লিশা, মৃত্যু বার্ষিকী না করলে মৃতের আত্বা কষ্ট পায়। তবে এগুলো দ্বারা ইছালে ছাওয়াবের উদ্দেশ্যে করলে মৃত ব্যক্তির ফায়দা হবে।
৮৯) মৃত ব্যাক্তির কবরে জিয়ারতের সময় মোমবাতি, আগরবাতি দিতে হয়। তবে জিয়ারতের সুবিধার জন্য রাতের বেলায় মোমবাতি বা লাইটের ব্যবস্থা করা যাবে। দিনের বেলায় বেদয়াতে সাইয়্যিয়াহ/ অপচয় ছাড়া অন্য কিছু নয়। ফুল দিলে কাঁচা ফুল দেয়াতে ফায়দা আছে। যতক্ষণ কাঁচা থাকবে ততক্ষণ জিকির ও তাসবিহ পড়বে। জিকির ও তাসবির ছাওয়াব মৃত ব্যক্তির রুহে দেয়া হবে। তাই ফুল দেয়া যেতে পারে।
৯০) নামাজ পড়তে টুপি লাগেনা, বিয়ে করতে টুপি পরতে হয়না। টুপি পরিধান করা আদব, সৌন্দর্য ও ইসলামী আদর্শবাদ।
৯১) বিয়ের পর মুরব্বিদের দাঁড়িয়ে সালাম করতে হয়, পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতে হয়। পরিচিতির করা যেতে পারে। বাধ্যবাধকতা নেই।
৯২) ঈদের রাতে, শবে বরাতের রাতে মৃতের জিয়ারত করতে হয়না। তবে জিয়ারতের নামে সারারাত এদিক ওদিক দৌড়াদৌড়ি করে রাত ইবাদত না করে, রাত শেষে ফজরের নামাজ না পড়ে ঘুমালে হবেনা।
৯৩) স্বামীর নাম , শশুরের নাম উচ্চারন করা যাবে না।
৯৪) মন ভাংগা ও মসজিদ ভাংগা সমান নয়। মন ভাংগার অর্থ কষ্ট দেয়া। কারণ পিতা-মাতার মনে কষ্ট দিলে ঠিকানা জাহান্নাম। যা হাদিস শরীফে এসেছে। আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দিলে ঠিকানা জাহান্নাম। আর অন্যায় ভাবে ঈমানদ্বরের মনে কষ্ট দেয়ার ব্যাপারে কোরআন মজিদে নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
৯৫) তিন শুক্রবার জুমা না পড়লে স্ত্রী তালাক হয়ে যায়, মুসলমান থাকে না।
৯৬) হরলিকস খেলে বাচ্চারা ‘লম্বা-শক্তিশালী-বুদ্ধিমান’ হয়। এগুলো চিকিৎসা নির্ভর করতে হবে আল্লাহর রহমতের উপর।
৯৭) মেয়ে সন্তান হয় স্ত্রীর দোষে।
৯৮) জন্মের পর বার বার সন্তান মারা গেলে অরুচিকর নাম রাখলে সন্তান বেঁচে যায়।
৯৯) বুড়া হলে হজ্ব করা উচিত, যুবক বয়সে হজ্ব “রাখা(!)” যায় না
১০০) একটি দাড়িতে সত্তরটি ফিরিশতা থাকেনা।
১০১) একটি ভাতের দানা বানাতে সত্তরজন ফিরিশতা লাগে।
১০২) চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলা কিছু কাটলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হয়।
১০৩) ১৩ সংখ্যা অশুভ আর ৭ শুভ ।
১০৪) প্লেট চেটে খেলে কন্যা সন্তান হয়।
১০৫) শবে বরাতের রাতে গোসল করলে গুনাহ মাফ হয়। এটা মোস্তাহাব। এটার উপর নির্ভরশীল হয়ে ইবাদত বন্দেগী বাদ দিলে হবেনা।
১০৬) শবে বরাতে হালুয়া-রুটি বানালে আরশের নিচে ছায়া হবে।
১০৭) রোযাদারের খাবারের হিসাব হবে না।
১০৮) তালিবুল ইলমের জন্য সত্তর হাজার ফিরিশতা ডানা বিছিয়ে দেন।
১০৯) দোকান ঝাড়ু দেয়ার আগে ভিক্ষা দেয়া বা বেচা-কেনা করা যাবে না।
১১০) কলা হাত দিয়ে ভেঙে ভেঙে খাওয়া সুন্নত।
১১১) প্রজাপতিকে পানি পান করালে মৃত ব্যক্তিকে পান করানো হয়। শুধু প্রজাপতি কেন? যেকোনো প্রাণীকে পানি, খাবার খাওয়ালে ছাওয়াব হবে। ইছালে ছাওয়াবের উদ্দেশ্যে করলে মৃত ব্যক্তির রুহে ছাওয়াব পৌঁছে যাবে।
১১২) মসজিদে লাল বাতি জ্বলা অবস্থায় নামায পড়া নিষেধ।
১১৩) মসজিদে দুনিয়াবি কথা বলা হারাম। তবে, মাকরুহ । এটা আল্লাহর ঘর ইবাদতের জায়গা। আদব রক্ষার্থে দুনিয়াবি থেকে বিরত থাকা একান্ত প্রয়োজন।
১১৪) বিদ্যানের কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়ে মূল্যবান।
১১৫) স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর জান্নাত। এটার অর্থ খেদমত করা ও বাধ্য থাকা।
১১৬) যে ঘরে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় সে ঘর কি চল্লিশ দিন নাপাক থাকে।
১১৭) আগের উম্মত নবীর মাধ্যম ছাড়া দুআ করতে পারত না।
১১৮) আশুরার রোযা: ষাট বছর ইবাদতের সওয়াব। এটার এনয়, আশুরার রোজাদার আর ইবাদত বন্দেগী করতে হবেনা। যদি এ বিশ্বাসে করে , তাহলে কুসংস্কার।
১২৫) মাগরীবের আযান দিলে দোকান পাট বা গাড়িতে ‘সন্ধ্যার বাতি’ জালানো। অন্ধকারে প্রয়োজন হলে অবশ্যই জ্বালাবে।
১২৬) রোজা- নামাজের নিয়ত (আরবীতে বা মাতৃভাষায়)মুখে উচ্চারন করতেই হবে। না করলে হবেনা।
১২৭) জিবরীলের চার প্রশ্ন … আপনি বড় না দ্বীন বড়?
১২৮) শয়তান ঈদের দিন রোজা রাখে।
১২৯) দোকানে বরকতের জন্য সকালে গোলাপজল সন্ধ্যায় আগরবাতি জ্বালাতে হয়।
১৩০) গোঁফ স্পর্শ করা পানি পান করা হারাম নয়।
১৩১) খোদার পর বাবা-মা তারপর নবীজী।
১৩২) মৃতের রূহ চল্লিশ দিন বাড়িতে আসা যাওয়া করতে পারে না।
১৩৩) আল্লাহ কোনো বান্দার দিকে ১০ বার রহমতের নজরে তাকালে সে নিয়মিত জামাতে নামাজ পড়তে পারে। আর ৪০ বার তাকালে হজ্ব করতে পারে। আর ৭০ বার তাকালে আল্লাহর রাস্তায় বের হতে পারে।’
১৩৪) দোয়ার শেষে হাতে চুমু খেতে হয়।
১৩৫) বদ নযর থেকে হেফাযতের জন্য শিশুর কপালে টিপ দিতে হয়।
১৩৬) মেয়ে সন্তান হলে আযান দিতে হয় না।
১৩৭) যাকাত শুধু রমযান মাসে আদায় করতে হয়
১৩৮) গায়রে মাহরামের সাথে কথা বললে অযু নষ্ট হয়ে যায়।
১৩৯) ছেলের পিতা ও বন্ধুরা পাত্রী দেখবে ও যাচাই করবে।
১৪০) টাখনুর উপর কাপড় শুধু নামাযের সময় উঠাতে হয়।
১৪১) বাচ্চাদের বদনজর থেকে রক্ষার জন্য -,‘ষাট ষাট বালাই ষাট’ বলতে হয়।
১৪২) কিয়ামতের আলামত : বেগুন গাছ তলায় হাট বসবে।
১৪৩) নাম বদলালে আকীকা দিতে হয়।
১৪৪) কিয়ামতের দিন নবীজী তিন স্থানে বেহুশ হবেন(নাউযুবিল্লাহ)।
১৪৫) ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন শুধু মৃত্যু সংবাদ শুনে বলতে হয়।
১৪৬) হাঁটু খুলে গেলে অযু ভেঙ্গে যায়।
১৪৭) জুমার রাত কদরের রাত থেকেও উত্তম।
১৪৮) সুরমা তুর পর্বত এর তাজাল্লী থেকে সৃষ্টি নয়।
১৪৯) কবরের দিকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করা নিষেধ।
১৫০) মেরাজে নবীজীর সাতাশ বছর সময় অতিবাহিত করেননি।
১৫১) তওবার জন্য অযু জরুরি নয়।
১৫২) শ্বশুর বাড়ি প্রবেশের আগে নববধুর পা ধোয়াতে হয়।
১৫৩) খাওয়ার পর প্লেট ধোয়ে বা চেটে খাওয়া সুন্নত নয় ।
১৫৪) আজানের জবাবে পুরুষ পাবে এক লক্ষ নেকী, মহিলা দুই লক্ষ নেকী।
১৫৫) হযরত ওমরের ইসলাম গ্রহণের দিন কাবা শরীফে আযান শুরু হয়।
১৫৬) দিনের প্রথম উপার্জন হাতে পাওয়ার পর তাতে চুমো দেয়া, গাড়ির স্টিয়ারিং, হাতল বা কোনো অংশে ছোঁয়ানোর পরে বুকে ও চোখে লাগানো।
১৫৭) মাদরাসা রাসূলের ঘর নয়।
১৫৮) ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
১৫৯) কারো অকাল (অসময়ে) মৃত্যু হয়েছে মনে করা ।
১৬০) প্রবল তুফান ও ঝড়-বৃষ্টি বন্ধের জন্য আযান না দেয়া।
১৬১) বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করতে হয়।
১৬২) জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজনে চীন দেশে যাও- হাদিস মনে করা।
১৬৩) মসজিদে নববীতে চল্লিশ ওয়াক্ত নামায জরুরি মনে না করা।
১৬৪) বিয়েতে ‘কালেমা’ পড়তে হয়, মৃতের লাশ নেয়ার সময় কলেমা পড়তে হয়।
১৬৫) বিশেষ দিনে/ শ্রদ্ধা জানাতে ছবি, মুর্তি বা কবরে ফুল দিতে হয়।
১৬৬) নিশ্চিত কর এআকিদা বিশ্বাস করা যে, আল্লাহ্ তাআলার আঠারো হাজার মাখলুকাত।
১৬৭) কাফের মারা গেলে ‘ফী নারি জাহান্নামা’ বলতে হয়।
১৬৮) বিধবার অন্যত্র বিবাহ হলে সে পূর্বের স্বামীর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়।
১৬৯) আসরের সালাতের পর কিছু খাওয়া উচিত না।
১৭০) ভাত পড়লে, তুলে না খেলে তা কবরে সাপ-বিচ্ছু হয়ে কামড়াবে। তাই অপচয় করা যাবে না।
১৭১) কেউ হঠাৎ ভয় পেলে বুকে থুথু দিতে হয়।
১৭২) বাচ্চা বিছানায় পেশাপ করলে কোরআন হাদিস সমর্থিত তাবিজ ব্যবহার করা যাবে না।
১৭৩) শালি–দুলাভাই আপন ভাই বোনের মত, পর্দা লাগে না।
১৭৪) ভালো মানুষের নামাজ লাগে না। তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে।
১৭৫) পীর-দরবেশদের হিসাব আলাদা, তাদের সাধারন মানুষদের মত নামাজ- রোজা লাগেনা।
১৭৬) স্ত্রী স্বামীকে তালাক নিলে দেন মোহর দিতে হয় না।
১৭৭) গোসল করে ফল খেতে হয় নেই।
১৭৮) গর্ভবতী মহিলা সর্বদা লোহা, ম্যাচের কাঠি, রশুন সাথে রাখবে, নতুবা অমংগল হয়।
১৭৯) জবাইকৃত মুরগির পেটের ডিম, বাড়িতে তৈরি প্রথম পিঠা অবিবাহীত মেয়েরা খাবে না।
১৮০) মৃতের জন্য তিন দিন পর্যন্ত শোক পালন করতে হয়না।
১৮১) আযান শুনলে মেয়েরা মাথায় কাপড় দিবে, অন্য সময় না দিলেও চলে।
১৮২) বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহু দুর।
১৮৩) দুধ ও আনারস এক সাথে খেলে বিষ হয়ে যায়।
১৮৪) রত্ন-পাথর ব্যবহারে ভাগ্য পরিবর্তন হয়, নীলা সবার সহ্য হয় না, ভাগ্যে শনির প্রভাব পড়ে, হাতে ভাগ্য লিখা থাকে, পাথর ব্যবহার করা সুন্নত।
১৮৫) খাবার পর মিষ্টি খাওয়া সুন্নত।
১৮৬) দোয়া করতে হুজুর ডাকতে হয়, নিজে না করাই ভাল।
১৮৭) পীর-ফকির তাদের মুরিদদের হিসাব ছাড়া বেহেস্তে নিয়ে যাবে। আসল পীর মুরীদে এধরনের বিশ্বাসের স্থান নেই।
১৮৮) বিড়াল মারলে লবন ও গামছা সদকা
দিতে হয়।
১৮৯) মাজারে সিন্নি দিতেই হয়, মুরগি-খাসি দান করতেই হয়। অন্যথায় দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ পাওয়া যাবে না।
১৯০) কবর – মাজার দেখলে সালাম ও দোয়া করতে হয়না ও ভক্তি সহকারে জিয়ারত থেকে করতে হয়না।
১৯১) পীর অলীদের দোয়ার উসিলায় আল্লাহ তাআলা নিঃসন্তানকে সন্তান দিতে পারেন। তবে, সরাসরি এআকিদা পোষণ করা যাবে না যে, আল্লাহ তাআলা ছাড়া সন্তান সন্ততি দিতে পারেন।
১৯২) গাছের ফল চুরি হলে গাছে আর ফল ধরে না।
১৯৩) রান্না করার জন্য হলুদ ধার দেয়া যাবে না।
১৯৪) জামা গায়ে থাকা অবস্থায় সেলাই করলে অসুখ হয়।
১৯৫) মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকলে অসুখ হয়। তবে এধরনের বৈঠক দেখতে বেমানান। তাই বিরত থাকা উচিত।
১৯৬) অষ্ট ধাতুর আংটি, বালা ব্যবহার করলে বাত/বাতজ্বর/রক্ত চাপ ইত্যাদি অসুখ ভাল হয়।
১৯৭) পিতা-মাতা, সন্তান, নেতা-নেত্রী, পীরের ছবি ঘরে রাখলে বরকত হয়।
১৯৮) ফরজ গোসল না করলে ঘরের কাজ করা যায় না।
১৯৯) মেয়ে সন্তানদের সম্পদের হিস্যা দেয়া জরুরী না, বিনা হিসাবে কিছু একটা দিলেই চলে।
২০০) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মত দোষে গুণে মানুষ।
২০১) হরিন ও নবীর কাহিনী, বরই কাটা বিছানো বুড়ি ও নবীর কাহিনী মিথ্যা মনে করা।
২০২) নবী নূরে তৈরি নয়, মাটির মাটির।
২০৩) মানুষ মারা গেলে আকাশের তারা হয়ে যায়।
২০৪) মানুষ মরে ভুত হয়।
২০৫) কুকুর কামড়ে মানুষের পেটে কুকুরের বাচ্চা হয়।
২০৬) পেশাব/পায়খানা করে ঢিলা/কুলুখ ব্যবহার করতে হবে, শুধু পানি ব্যবহার চলবে না। তবে, সতর্কতার অবলম্বনে প্রয়োজনে ঢিলা/ কুলুখ ব্যবহার করতে পারে।
২০৭) পেশাবের পর কুলুখ ধরে চল্লিশ কদম না চললে নাপাকি যায় না।
২০৮) যাকাত হিসাব করা জরুরি না, বিনা হিসাবে দিলেও চলে।
২১১) সালাতে ইমামের ভুল হলে “সুবাহান্নাহ” বলতে হবে। “আল্লাহু আকবার” বললে হবেনা। মনে করা।
২১২) ছোটরাই শুধু বড়দের সালাম দিবে, বড়রা দিবে না।
২১৩) পশ্চিম দিকে/ কেবলা ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রাওজা মোবারকের পা দিয়ে বসলে বা শুলে গুনাহ/বেয়াদবী হবেনা বা গুনাহ হবেনা। বরং ইচ্ছা করে দিলে ঈমান হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
২১৪) মাজহাব মানা ফরজ নয়। ইজমায়ে উম্মত মানা ফরজ নয়। যার যার ইচ্ছা মত সরাসরি কোরআন ও হাদিস শরীফের উপর নির্ভরশীল হলে
২১৫) কদম বুসি বা পায়ে ধরে চুমা বা সালাম ইসলামী বিধান মনে করা। তবে করলে ভাল না করলে অসুবিধা নেই।
২১৬) যৌতুক হালাল মনে করা।
২১৭) অলিদের কারামত অস্বীকার করা। যেমন- আব্দুল কাদের জিলানী রহঃ মায়ের পেটে ১৮ পারা কোরআন মূখস্ত করেছেন।
২১৮) গাউসে পাকের নাম জপিলে আল্লাহ পাওয়া যায়।(আসতাগফিরুল্লাহ)
২১৯) পীরের মুরিদ হলে নামাজ-রোজা লাগে না।ফানা ফিল্লাহ-এ পৌছে গেলে কিছু লাগে না।
২৪৬) ফরজ নামাজের পর সম্মিলিত মোনাজাত কে বিদয়াত বলা।
২৪৭) তারাবির নামাজ ২০রাকায়াত নয়, ৮ রাকায়াত বলা ও পড়া।
২৪৮) ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নাহর মূল্যায়ন না করে নফল ও মোস্তাহাব নিয়ে ঝগড়া ফ্যাসাদ করা।
২৪৯) ওরস-ফাতিহা দিয়ে নাম দিয়ে নামাজ না পড়ে, পর্দা না করে, নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা করা।
২৫০) ফেইসবুক, ইউটিউব সহ স্যোশাল মিডিয়ায় ফলোয়ার, লাইকার, ফ্রেন্ডলিস্টে লক্ষাধিক হলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
২৫১) পবিত্র কোরআন ও হাদিস শরীফের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ছলফে সালেহীনের অনুসরণ অনুকরণ না করে নিজের মনগড়া মতামত কে প্রাধান্য দেয়া।
২৫২) প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খাবার প্লেটে নিয়ে , কিছু খেয়ে আর কিছু ফেলে দেয়াকে গর্বের বিষয় মনে করা।
২৫৩) আযানের সময় আযানের জাওয়াব না দিয়ে দুনিয়াবি কথা বার্তায় লিপ্ত থাকা।
২৫৪) এমন টাইট পিঠ কাপড় পরিধান করা যা পরিধানের পর সতর দেখা যায়। নামাজ পড়তে অসুবিধা হয়। পর্দা রক্ষা করা যায় না। সসম্মানে উঠা বসা করা যায় না।
২৫৫) বিয়ের দিন ও মেহেদী রজনী নামে বর্তমানে যা কিছু করা সবগুলো কুসংস্কারের অন্তর্ভুক্ত।
সর্বোপরি যে কাজ গুলো, পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহর পরিপন্থী। শরিয়ত ও তরিকত বিরোধী। স্বাভাবিক ভাবেই কোনো সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়। সে কাজ গুলো কুসংস্কার হিসেবে বিবেচিত। এর মধ্যে কতগুলো আছে, শিরক পর্যায়ের। কতগুলো আছে, বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ পর্যায়ের। কতগুলো আছে, হারাম। কতগুলো আছে, মাকরুহ।