ﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ ﻭﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻠﻰ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻋﻠﻰ ﺁﻟﻪ ﻭﺻﺤﺒﻪ ﺍﺟﻤﻌﻴﻦ . ﺃﻣﺎ ﺑﻌﺪ .
বর্তমান সময়ে খুব আলোচিত একটি বিষয়। এই বিষয়টি নিয়ে কিছু সংখ্যক ভায়েরা সমাজে একটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে যাচ্ছে। তাই আসুন মূল বিষয়টি কি তা নিয়ে আলোচনা করি।
বীর্য পাক, না নাপাক তা নিয়ে সোনালী যুগ তথা সাহাবায়ে কিরাম রাঃ এর যুগেও মতবিরোধ ছিল। এমনি ভাবে তাবেঈগণের মধ্যও একই মতবিরোধ ছিল। এমনি ভাবে আইম্মায়ে মুজতাহিদগণের মধ্যেও মতবিরোধ ছিল। তাই এই ব্যাপারে মাযহাব হল ২টি। প্রথম মাযহাব, যারা বলেন বীর্য পাক। তাদের মধ্যে হলেন, সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ ইমামগণের মধ্যে, ইমাম শাফেয়ী রাহঃ ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহঃ প্রমুখ। ইমাম নববী রাহঃ বলেন – মানুষের বীর্যের ব্যাপারে ইমাম শাফেয়ী রাহঃ এর তিনটি মত পাওয়া যায় – ১। নারী- পুরুষের উভয়ের মনি নাপাক। ২। নারীর মনি নাপাক এবং পুরুষের মনি পাক। ৩। উভয়ের মনি পাক। ইমাম নববী রাহঃ বলেন- উল্লেখিত মতগুলোর প্রথম দু’টি মত নিতান্ত দুর্বল এবং ﺷﺎﺫ । বরং সহীহ হলো শেষোক্ত মতটি। সূত্রঃ- হাশিয়ায়ে নববী ১/১৪০। দ্বিতীয় মাযহাব- যারা বলেন বীর্য নাপাক। তাদের মধ্যে হলেন- সাহাবী হযরত ওমর রাঃ, হযরত সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রাঃ, হযরত আয়শা রাঃ, হযরত আবূ হুরাইরা রাঃ, হযরত আনাস রাঃ সহ উপরে উল্লেখিত প্রথম মতের কয়েকজন ব্যতিত বাকী সকল সাহাবায়ে কেরাম রাঃ। ইমামগণের মধ্যে হলেন- সুফিয়ান সাওরী রাহঃ, ইমাম আওযায়ী রাহঃ ইমাম আবূ হানীফা রাহঃ, ইমাম মালেক রাহঃ প্রমুখ। সূত্রঃ- ইযাহুল মুসলিম শরহে সহীহুল মুসলিম – পৃষ্টা ৬৯০।
দ্বিতীয় মাযহাবের দলীলঃ – যারা বলেন মনি নাপাক। তাদের দলীল হল –
১। সহীহ ইবনে হিব্বানে হযরত জাবের ইবনে সামুরা রাঃ হতে বর্ণিত তিনি বলেন- এক ব্যক্তি রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞেস করেছিল, যে কাপড় নিয়ে আমার স্ত্রীর নিকট আসি ঐ কাপড় নিয়ে কি নামায পড়ব? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ। তবে যদি তাতে কোন কিছু (অর্থাৎ বীর্য) দেখতে পাও তাহলে তা ধৌত করবে। সূত্রঃ-সহীহ ইবনে হিব্বান খন্ড- ৬ পৃষ্টা- ১০২ হাদীস নং ২৩৩৩
নিম্নে সনদসহ হাদীস উল্লেখ করা হল – ٢٣٣٣ – ﺃَﺧْﺒَﺮَﻧَﺎ ﺃَﺣْﻤَﺪُ ﺑْﻦُ ﻋَﻠِﻲِّ ﺑْﻦِ ﺍﻟْﻤُﺜَﻨَّﻰ، ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻣَﺨْﻠَﺪُ ﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻲ ﺯُﻣَﻴْﻞٍ، ﻭَﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟْﺠَﺒَّﺎﺭِ ﺑْﻦُ ﻋَﺎﺻِﻢٍ، ﻗَﺎﻟَﺎ : ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻋُﺒَﻴْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻋَﻤْﺮٍﻭ، ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟْﻤَﻠِﻚِ ﺑْﻦِ ﻋُﻤَﻴْﺮٍ، ﻋَﻦْ ﺟَﺎﺑِﺮِ ﺑْﻦِ ﺳَﻤُﺮَﺓَ، ﻗَﺎﻝَ : ﺳَﺄَﻝَ ﺭَﺟُﻞٌ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ﺃُﺻَﻠِّﻲ ﻓِﻲ [ ﺹ : ١٠٣ ] ﺍﻟﺜَّﻮْﺏِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺁﺗِﻲ ﻓِﻴﻪِ ﺃَﻫْﻠِﻲ؟ ﻗَﺎﻝَ : « ﻧَﻌَﻢْ، ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻥْ ﺗَﺮَﻯ ﻓِﻴﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺘَﻐْﺴِﻠَﻪُ » . [ ٤ : ٣ ]ﺭﻗﻢ ﻃﺒﻌﺔ ﺑﺎ ﻭﺯﻳﺮ = ( ٢٣٢٧ ) [ ﺗﻌﻠﻴﻖ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ]ﺻﺤﻴﺢ – « ﺻﺤﻴﺢ ﺃﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ » ( ٣٩٠ ) .[ ﺗﻌﻠﻴﻖ ﺷﻌﻴﺐ ﺍﻷﺭﻧﺆﻭﻁ ]ﺇﺳﻨﺎﺩﻩ ﺻﺤﻴﺢ، ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺠﺒﺎﺭ ﺑﻦ ﻋﺎﺻﻢ، ﻭﺛﻘﻪ ﺍﺑﻦ ﻣﻌﻴﻦ ﻭﺍﻟﺪﺍﺭﻗﻄﻨﻲ ﻭﻣﺨﻠﺪ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺯﻣﻴﻞ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻲ : ﻻ ﺑﺄﺱ ﺑﻪ، ﻭﻣﻦ ﻓﻮﻗﻬﻤﺎ ﺛﻘﺎﺕ ﻣﻦ ﺭﺟﺎﻝ ﺍﻟﺸﻴﺨﻴﻦ
২। সুনানে আবী দাউদের এক হাদীসে উল্লেখ আছে- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী উম্মে হাবীবা রাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হল – রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি ঐ কাপড় নিয়ে নামায পড়তেন, যে কাপড় নিয়ে স্ত্রী সহবাস করতেন ? তিনি বলেন – হ্যাঁ।যখন তিনি তাতে কোন বীর্য দেখতে পেতেন না। সূত্রঃ- সুনানে আবী দাউদ খন্ড – ১ পৃষ্টা ২৭৩।
নিম্নে হাদীসের সনদ উল্লেখ করা হল- ﺑﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺜﻮﺏ ﺍﻟﺬﻱ ﻳﺼﻴﺐ ﺃﻫﻠَﻪ ﻓﻴﻪ٣٦٦ – ﺣﺪَّﺛﻨﺎ ﻋﻴﺴﻰ ﺑﻦ ﺣﻤّﺎﺩ ﺍﻟﻤﺼﺮﻱ، ﺃﺧﺒﺮﻧﺎ ﺍﻟﻠﻴﺚُ، ﻋﻦ ﻳﺰﻳﺪ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺣﺒﻴﺐ، ﻋﻦ ﺳُﻮﻳﺪ ﺑﻦ ﻗﻴﺲ، ﻋﻦ ﻣُﻌﺎﻭﻳﺔ ﺑﻦ ﺣُﺪَﻳﺞ، ﻋﻦ ﻣُﻌﺎﻭﻳﺔ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺳُﻔﻴﺎﻥﺃﻧﻪ ﺳﺄﻝ ﺃُﺧﺘَﻪ ﺃُﻡَّ ﺣﺒﻴﺒﺔَ ﺯﻭﺝَ ﺍﻟﻨﺒﻲ – ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ :- ﻫﻞ ﻛﺎﻥَ ﺭﺳﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪ – ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ – ﻳُﺼﻠّﻲ ﻓﻲ ﺍﻟﺜَّﻮﺏِ ﺍﻟﺬﻱ ﻳُﺠﺎﻣِﻌُﻬﺎ ﻓﻴﻪ؟ ﻓﻘﺎﻟﺖ : ﻧﻌﻢ، ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳَﺮَ ﻓﻴﻪ ﺃﺫﻯ ( ١ )
৩। সুনানে আবী দাউদ আরেক রেওয়ায়াতে আছে –হযরত আয়শা রাঃ বলেন, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাপড় হতে মনী ধৌত করতেন। সূত্রঃ- সুনানে আবী দাউদখন্ড- ১ পৃষ্টা ২৮৮।
নিম্নে সনদ সহ হাদীস উল্লেখ করা হল – ٧٣ – ﺣﺪَّﺛﻨﺎ ﻋﺒﺪُ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻣﺤﻤّﺪ ﺍﻟﻨُّﻔَﻴﻠﻲُّ، ﺣﺪَّﺛﻨﺎ ﺯُﻫﻴﺮٌﻗﺎﻝ : ﻭﺣﺪَّﺛﻨﺎ ﻣﺤﻤَّﺪ ﺑﻦ ﻋُﺒﻴﺪ ﺑﻦ ﺣِﺴَﺎﺏ ﺍﻟﺒﺼﺮﻱ، ﺣﺪَّﺛﻨﺎ ﺳُﻠَﻴﻢ – ﻳﻌﻨﻲ ﺍﺑﻦ ﺃﺧﻀَﺮَ ﺍﻟﻤﻌﻨﻰ، ﻭﺍﻹﺧﺒﺎﺭُ ﻓﻲ ﺣﺪﻳﺚ ﺳُﻠَﻴﻢ – ﻗﺎﻻ : ﺣﺪَّﺛﻨﺎ ﻋﻤﺮﻭ ﺑﻦ ﻣﻴﻤﻮﻥ ﺑﻦ ﻣِﻬﺮﺍﻥ، ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖُ ﺳﻠﻴﻤﺎﻥ ﺑﻦ ﻳَﺴَﺎﺭ ﻳﻘﻮﻝ :ﺳﻤﻌﺖُ ﻋﺎﺛﺸﺔَ ﺗﻘﻮﻝ : ﺇﻧﻬﺎ ﻛﺎﻧﺖ ﺗَﻐﺴِﻞُ ﺍﻟﻤﻨﻲَّ ﻣِﻦ ﺛَﻮﺏِ ﺭﺳﻮﻝِ ﺍﻟﻠﻪ – ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ – ﻗﺎﻟﺖ : ﺛﻢَّ ﺃَﺭﺍﻩ ﻓﻴﻪ ﺑﻘﻌﺔً ﺃﻭ ﺑﻘﻌﺎً ( ٣ )
৪। সহীহ মুসলিমে হযরত আয়শা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মনী ধৌত করতেন অতঃপর ঐ কাপড় নিয় নামাযের জন্য বাহির হতেন এমতাবস্থায় তার ধৌত করা চিহ্নের দিকে অামি তাকিয় থাকতাম। সূত্রঃ- সহীহ মুসলিমখন্ড- ১ পৃষ্টা ২৩৯ হাদীস নং ২৮৯।
নিম্নে সনদ সহ হাদীস উল্লেখ করা হল – ( ٢٨٩ ) ﻭَﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺃَﺑُﻮ ﺑَﻜْﺮِ ﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻲ ﺷَﻴْﺒَﺔَ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻣُﺤَﻤَّﺪُ ﺑْﻦُ ﺑِﺸْﺮٍ، ﻋَﻦْ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﻣَﻴْﻤُﻮﻥٍ، ﻗَﺎﻝَ : ﺳَﺄَﻟْﺖُ ﺳُﻠَﻴْﻤَﺎﻥَ ﺑْﻦَ ﻳَﺴَﺎﺭٍ، ﻋَﻦِ ﺍﻟْﻤَﻨِﻲِّ ﻳُﺼِﻴﺐُ ﺛَﻮْﺏَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞِ ﺃَﻳَﻐْﺴِﻠُﻪُ ﺃَﻡْ ﻳَﻐْﺴِﻞُ ﺍﻟﺜَّﻮْﺏَ؟ ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﺃَﺧْﺒَﺮَﺗْﻨِﻲ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔُ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﻐْﺴِﻞُ ﺍﻟْﻤَﻨِﻲَّ ﺛُﻢَّ ﻳَﺨْﺮُﺝُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻓِﻲ ﺫَﻟِﻚَ ﺍﻟﺜَّﻮْﺏِ، ﻭَﺃَﻧَﺎ ﺃَﻧْﻈُﺮُ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﺛَﺮِ ﺍﻟْﻐَﺴْﻞِ ﻓِﻴﻪِ
৫। সহীহ মুসলিমের আরেক হাদীসে হযরত আয়শা রাঃ বলেন- আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাপড় হতে মনী ধৌত করতাম। সূত্রঃ- সহীহ মুসলিম। খন্ড -১ পৃষ্ট – ২৩৯ হাদীস নং ২৮৯।
নিম্নে সনদ সহ হাদীস উল্লেখ করা হল- ( ٢٨٩ ) ﻭَﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺃَﺑُﻮ ﻛَﺎﻣِﻞٍ ﺍﻟْﺠَﺤْﺪَﺭِﻱُّ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟْﻮَﺍﺣِﺪِ ﻳَﻌْﻨِﻲ ﺍﺑْﻦَ ﺯِﻳَﺎﺩٍ ﺡ، ﻭَﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺃَﺑُﻮ ﻛُﺮَﻳْﺐٍ، ﺃَﺧْﺒَﺮَﻧَﺎ ﺍﺑْﻦُ ﺍﻟْﻤُﺒَﺎﺭَﻙِ، ﻭَﺍﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻲ ﺯَﺍﺋِﺪَﺓَ ﻛُﻠُّﻬُﻢْ ﻋَﻦْ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﻣَﻴْﻤُﻮﻥٍ، ﺑِﻬَﺬَﺍ ﺍﻟْﺈِﺳْﻨَﺎﺩِ ﺃَﻣَّﺎ ﺍﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻲ ﺯَﺍﺋِﺪَﺓَ ﻓَﺤَﺪِﻳﺜُﻪُ ﻛَﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ ﺍﺑْﻦُ ﺑِﺸْﺮٍ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﻐْﺴِﻞُ ﺍﻟْﻤَﻨِﻲَّ ﻭَﺃَﻣَّﺎ ﺍﺑْﻦُ ﺍﻟْﻤُﺒَﺎﺭَﻙِ، ﻭَﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟْﻮَﺍﺣِﺪِ ﻓَﻔِﻲ ﺣَﺪِﻳﺜِﻬِﻤَﺎ ﻗَﺎﻟَﺖْ ﻛُﻨْﺖُ ﺃَﻏْﺴِﻠُﻪُ ﻣِﻦْ ﺛَﻮْﺏِ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ
৬।এমনি ভাবে সহী মুসলিমে উল্লেখ আছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানাবত তথা বীর্যের স্থান ধৌত করতেন। সূত্রঃ- সহীহ মুসলিম খন্ড – ১ পৃষ্টা ২৫৪ হাদীস নং ৩১৬।
নিম্নে সনদ সহ হাদীস উল্লেখ করা হল- ٣٦ – ( ٣١٦ ) ﻭَﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺃَﺑُﻮ ﺑَﻜْﺮِ ﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻲ ﺷَﻴْﺒَﺔَ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻭَﻛِﻴﻊٌ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻫِﺸَﺎﻡٌ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ، ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻏْﺘَﺴَﻞَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺠَﻨَﺎﺑَﺔِ، ﻓَﺒَﺪَﺃَ ﻓَﻐَﺴَﻞَ ﻛَﻔَّﻴْﻪِ ﺛَﻠَﺎﺛًﺎ، ﺛُﻢَّ ﺫَﻛَﺮَ ﻧَﺤْﻮَ ﺣَﺪِﻳﺚِ ﺃَﺑِﻲ ﻣُﻌَﺎﻭِﻳَﺔَ ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﺬْﻛُﺮْ ﻏَﺴْﻞَ ﺍﻟﺮِّﺟْﻠَﻴْﻦ
৭।এমনি ভাবে সহীহ বোখারীতে উল্লেখ আছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানাবত তথা বীর্য ধৌত করতেন। সূত্রঃ- সহীহ বোখারীখন্ড -১ পৃষ্টা ৫৯ হাদীস নং ২৪৮।
সনদ সহ নিম্নে হাদীস উল্লেখ করা হল- ٢٤٨ – ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻳُﻮﺳُﻒَ، ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺧْﺒَﺮَﻧَﺎ ﻣَﺎﻟِﻚٌ، ﻋَﻦْ ﻫِﺸَﺎﻡِ ﺑْﻦِ ﻋُﺮْﻭَﺓَ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ، ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ، ﺯَﻭْﺝِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ” ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ﻛَﺎﻥَ ﺇِﺫَﺍ ﺍﻏْﺘَﺴَﻞَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺠَﻨَﺎﺑَﺔِ، ﺑَﺪَﺃَ ﻓَﻐَﺴَﻞَ ﻳَﺪَﻳْﻪِ، ﺛُﻢَّ ﻳَﺘَﻮَﺿَّﺄُ ﻛَﻤَﺎ ﻳَﺘَﻮَﺿَّﺄُ ﻟِﻠﺼَّﻼَﺓِ، ﺛُﻢَّ ﻳُﺪْﺧِﻞُ ﺃَﺻَﺎﺑِﻌَﻪُ ﻓِﻲ ﺍﻟﻤَﺎﺀِ، ﻓَﻴُﺨَﻠِّﻞُ ﺑِﻬَﺎ ﺃُﺻُﻮﻝَ ﺷَﻌَﺮِﻩِ، ﺛُﻢَّ ﻳَﺼُﺐُّ ﻋَﻠَﻰ ﺭَﺃْﺳِﻪِ ﺛَﻼَﺙَ ﻏُﺮَﻑٍ ﺑِﻴَﺪَﻳْﻪِ، ﺛُﻢَّ ﻳُﻔِﻴﺾُ ﺍﻟﻤَﺎﺀَ ﻋَﻠَﻰ ﺟِﻠْﺪِﻩِ ﻛُﻠِّﻪِ ”
৮। এমনি ভাবে সহীহ বোখারীতে উল্লেখ আছে –হযরত আয়শা রাঃ বলেন – আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাপড় হতে বীর্য ধৌত করতাম। অতঃপর তিনি নামাযের জন্য বাহির হতেন। তার কাপড়ে ধৌত করা অদ্রতা দেখা যেত। সূত্রঃ- সহীহ বোখারী খন্ড ১ পৃষ্টা ৫৫ হাদীস নং ২২৯।
নিম্নে সনদ সহ হাদীস উল্লেখ করা হল- ٢٢٩ – ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻋَﺒْﺪَﺍﻥُ، ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺧْﺒَﺮَﻧَﺎ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﺍﻟﻤُﺒَﺎﺭَﻙِ، ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺧْﺒَﺮَﻧَﺎ ﻋَﻤْﺮُﻭ ﺑْﻦُ ﻣَﻴْﻤُﻮﻥٍ ﺍﻟﺠَﺰَﺭِﻱُّ، ﻋَﻦْ ﺳُﻠَﻴْﻤَﺎﻥَ ﺑْﻦِ ﻳَﺴَﺎﺭٍ، ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ﻗَﺎﻟَﺖْ : « ﻛُﻨْﺖُ ﺃَﻏْﺴِﻞُ ﺍﻟﺠَﻨَﺎﺑَﺔَ ﻣِﻦْ ﺛَﻮْﺏِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻓَﻴَﺨْﺮُﺝُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ، ﻭَﺇِﻥَّ ﺑُﻘَﻊَ ﺍﻟﻤَﺎﺀِ ﻓِﻲ ﺛَﻮْﺑِﻪِ »
৯। এমনি ভাবে সমার্থবোধক হাদীস মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাতে রয়েছে। সূত্রঃ- মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা খন্ড খন্ড -১ পৃষ্টা -৮২ হাদীস নং ৯১৩
নিম্নে সনদ সহ হাদীস উল্লেখ করা হল- ٩١٣ – ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺃَﺑُﻮ ﺑَﻜْﺮٍ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻋَﺒْﺪَﺓُ ﺑْﻦُ ﺳُﻠَﻴْﻤَﺎﻥَ، ﻋَﻦْ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﻣَﻴْﻤُﻮﻥٍ، ﻗَﺎﻝَ : ﺳَﺄَﻟْﺖُ ﺳُﻠَﻴْﻤَﺎﻥَ ﺑْﻦَ ﻳَﺴَﺎﺭٍ، ﻋَﻦِ ﺍﻟﺜَّﻮْﺏِ ﻳُﺼِﻴﺒُﻪُ ﺍﻟْﻤَﻨِﻲُّ ﺃَﻳَﻐْﺴِﻠُﻪُ ﺃَﻭْ ﻳُﻐْﺴَﻞُ ﻛُﻠُّﻪُ؟ ﻗَﺎﻝَ ﺳُﻠَﻴْﻤَﺎﻥُ : ﻗَﺎﻟَﺖْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔُ : « ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳُﺼِﻴﺐُ ﺛَﻮْﺑَﻪُ، ﻓَﻴَﻐْﺴِﻠُﻪُ ﻣِﻦْ ﺛَﻮْﺑِﻪِ، ﺛُﻢَّ ﻳَﺨْﺮُﺝُ ﻓِﻲ ﺛَﻮْﺑِﻪِ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﺃَﺭَﻯ ﺃَﺛَﺮَ ﺍﻟْﻐُﺴْﻞِ ﻓِﻴﻪِ »
১০। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ স্বপ্নদোষের চিহ্ন তথা বীর্য কাপড় থেকে ধৌত করতেন। সূত্রঃ- মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাখন্ড – ১ পৃষ্টা ৮৩ হাদীস নং ৯১৪।
নিম্নে সনদ সহ উল্লেখ করা হল –.٩١٤ – ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺣَﻔْﺺٌ، ﻋَﻦْ ﺃَﺷْﻌَﺚَ، ﻋَﻦِ ﺍﻟْﺤَﻜَﻢِ « ﺃَﻥَّ ﺍﺑْﻦَ ﻣَﺴْﻌُﻮﺩٍ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﻐْﺴِﻞُ ﺃَﺛَﺮَ ﺍﻟِﺎﺣْﺘِﻠَﺎﻡِ ﻣِﻦْ ﺛَﻮْﺑِﻪِ »
১১।বিখ্যত তাবেয়ী ইবরাহীম রাহঃ বলেন, তোমার কাপড় হতে মনী ধৌত কর। সূত্রঃ- মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা খন্ড ১ পৃষ্টা ৮৩ আসার নং ৯১৫।
নিম্নে সনদ সহ উল্লেখ করা হল –.٩١٥ – ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻭَﻛِﻴﻊٌ، ﻋَﻦْ ﺳُﻔْﻴَﺎﻥَ، ﻋَﻦْ ﺣَﻤَّﺎﺩٍ، ﻋَﻦْ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ، ﻗَﺎﻝَ : « ﺍﻏْﺴِﻞِ ﺍﻟْﻤَﻨِﻲَّ ﻣِﻦْ ﺛَﻮْﺑِﻚَ »
১২। হযরত ইবনে ওমর রাঃ মনী ধৌত করতেন।.সূত্রঃ- মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা হাদীস খন্ড ১ পৃষ্টা ৮৩ হাদীস নং ৯১৬।
নিম্নে সনদ সহ উল্লেখ করা হল- ٩١٦ – ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻭَﻛِﻴﻊٌ، ﻋَﻦْ ﻫِﺸَﺎﻡٍ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ، ﻋَﻦْ ﺯَﻳْﺪٍ « ﺃَﻥَّ ﺍﺑْﻦَ ﻋُﻤَﺮَ، ﻏَﺴَﻞَ ﻣَﺎ ﺭَﺃَﻯ »
প্রথম মাযহাবেরর দলীলঃ- যারা বলেন বীর্য পাক। তাদের দলীল –
১।হযরত আয়শা রাঃ বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাপড় হতে মনী ঘর্ষণ বা খুটিয়ে তোলে নিতাম। সূত্রঃ- সহীহ মুসলিম খন্ড- ১ পৃষ্টা ২৩৮ হাদীস নং ২৮৮।
নিম্নে সনদ সহ উল্লেখ করা হল। ١٠٦ – ( ٢٨٨ ) ﻭَﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻋُﻤَﺮُ ﺑْﻦُ ﺣَﻔْﺺِ ﺑْﻦِ ﻏِﻴَﺎﺙٍ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺃَﺑِﻲ، ﻋَﻦِ ﺍﻟْﺄَﻋْﻤَﺶِ، ﻋَﻦْ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ، ﻋَﻦِ ﺍﻟْﺄَﺳْﻮَﺩِ، ﻭَﻫَﻤَّﺎﻡٍ، ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤَﻨِﻲِّ ﻗَﺎﻟَﺖْ : ﻛُﻨْﺖُ ﺃَﻓْﺮُﻛُﻪُ ﻣِﻦْ ﺛَﻮْﺏِ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ”
২। তাদের আরেকটি দলীল হল হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ এর আছার, তিনি বলেন, মনী হচ্ছে নাকের শ্লেষ্মার মত সুতরাং তা দূর কর। যদিও ইজখির ঘাস দিয়ে হয়। সূত্রঃ- সুনানে তিরমিযী খন্ড- ১ পৃষ্টা -২০১ হাদীস নং ১১৭।
নিম্নে সনদ সহ উল্লেখ করা হল। ١١٧ – ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺃَﺣْﻤَﺪُ ﺑْﻦُ ﻣَﻨِﻴﻊٍ، ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺃَﺑُﻮ ﻣُﻌَﺎﻭِﻳَﺔَ، ﻋَﻦْ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﻣَﻴْﻤُﻮﻥِ ﺑْﻦِ ﻣِﻬْﺮَﺍﻥَ، ﻋَﻦْ ﺳُﻠَﻴْﻤَﺎﻥَ ﺑْﻦِ ﻳَﺴَﺎﺭٍ، ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ، ﺃَﻧَّﻬَﺎ « ﻏَﺴَﻠَﺖْ ﻣَﻨِﻴًّﺎ ﻣِﻦْ ﺛَﻮْﺏِ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ » ، ﻫَﺬَﺍ ﺣَﺪِﻳﺚٌ ﺣَﺴَﻦٌ ﺻَﺤِﻴﺢٌ، ﻭَﺣَﺪِﻳﺚُ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ﺃَﻧَّﻬَﺎ ﻏَﺴَﻠَﺖْ ﻣَﻨِﻴًّﺎ ﻣِﻦْ ﺛَﻮْﺏِ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ[ ﺹ : ٢٠٢ ] ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻟَﻴْﺲَ ﺑِﻤُﺨَﺎﻟِﻒٍ ﻟِﺤَﺪِﻳﺚِ ﺍﻟﻔَﺮْﻙِ، ﻟِﺄَﻧَّﻪُ ﻭَﺇِﻥْ ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻔَﺮْﻙُ ﻳُﺠْﺰِﺉُ ﻓَﻘَﺪْ ﻳُﺴْﺘَﺤَﺐُّ ﻟِﻠﺮَّﺟُﻞِ ﺃَﻥْ ﻟَﺎ ﻳُﺮَﻯ ﻋَﻠَﻰ ﺛَﻮْﺑِﻪِ ﺃَﺛَﺮُﻩُ، ﻗَﺎﻝَ ﺍﺑْﻦُ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ : « ﺍﻟﻤَﻨِﻲُّ ﺑِﻤَﻨْﺰِﻟَﺔِ ﺍﻟﻤُﺨَﺎﻁِ، ﻓَﺄَﻣِﻄْﻪُ ﻋَﻨْﻚَ ﻭَﻟَﻮْ ﺑِﺈِﺫْﺧِﺮَﺓٍ »হযরত ইমাম শাফেয়ী রাহঃ এর আরেকটি কিয়াসী দলীল হল। মনি দ্বারা নবী রাসূলগণকে সৃষ্টি করা হয়ছে। তাই তা নাপাক হতে পারেনা।
দ্বিতীয় মাযহাব বিশেষ করে আহনাফের পক্ষথেকে তাদের দলীলের জবাব। প্রথম মাযহাব বিশেষ করে শাফেয়ী মাযহাব মতে মনী পাক হওয়ার প্রধান দলীল হচ্ছে, হাদীসে মনি ঘষে বা খুড়িয়ে ফেলে দেওয়ার দ্বারা পাক করার কথা বলা হচ্ছে। তারা বলেন, যদি মনী পাকই না হত তাহলে ঘষে তোলার অনুমতি দেওয়া হত না, সুনিশ্চিত ভাবে ধৌত করার আদেশ দেওয়া হত। আহনাফের পক্ষথেকে এর জবাবে বলা হয় যে, ﻓﺮﻙ বা ডলে তোলার দ্বারা মনি পাক হওয়া বুঝায় না। বরং এটাতো নাপাক বস্তু পাক করার একটি পদ্ধতিমাত্র। নাপাক বস্তু পাক করার অনেক পদ্ধতি আছে। পাক করার পদ্ধতি একমাত্র পানি বা ﻏﺴﻞ ই নয়। বরং অন্য ভাবেও পবিত্রতা অর্জন করা যায়। আর পানিই যে পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম তাও নয়। অন্যথায় জুতার সাথে লেগে যাওয়া নাপাক দূর জন্য পানি ব্যবহার জরুরী হত। অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুতার নাপাকী দূর করার জন্য মাটির সাথে ঘর্ষণ করাকে বৈধ হিসেবে অনুমোদন দিয়েছেন। এবং এর পর এমতাবস্থায় নামায পড়ারও অনুমতি দিয়েছেন। নাপাক বস্তু পবিত্র করার যে একাধিক প্রন্থা আছে তা হাদীস দ্বারাই প্রমাণিত। সুনানে দারা কুতনীর এক বর্ণনায় এই মনির ব্যাপারেই বলা হয়েছে-.হযরত আয়শা রাঃ বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাপড় থেকে মনি ঘষে ফেলতাম যখন তা শুষ্ক হত, আর যখন তা তরল হত তখন তা ধৌত করতাম। সূত্রঃ- সুনানে দারাকুতনী খন্ড- ১ পৃষ্টা- ২২৬ হাদীস নং ৪৪৯।
নিম্নে সনদ সহ হাদীস উল্লেখ করা হল –.٤٤٩ – ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻣُﺤَﻤَّﺪُ ﺑْﻦُ ﻣَﺨْﻠَﺪٍ , ﻧﺎ ﺃَﺑُﻮ ﺇِﺳْﻤَﺎﻋِﻴﻞَ ﺍﻟﺘِّﺮْﻣِﺬِﻱُّ , ﺛﻨﺎ ﺍﻟْﺤُﻤَﻴْﺪِﻱُّ , ﻧﺎ ﺑِﺸْﺮُ ﺑْﻦُ ﺑَﻜْﺮٍ , ﻧﺎ ﺍﻟْﺄَﻭْﺯَﺍﻋِﻲُّ , ﻋَﻦْ ﻳَﺤْﻴَﻰ ﺑْﻦِ ﺳَﻌِﻴﺪٍ , ﻋَﻦْ ﻋَﻤْﺮَﺓَ , ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ , ﻗَﺎﻟَﺖْ : « ﻛُﻨْﺖُ ﺃَﻓْﺮُﻙُ ﺍﻟْﻤَﻨِﻲَّ ﻣِﻦْ ﺛَﻮْﺏِ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺇِﺫَﺍ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺎﺑِﺴًﺎ ﻭَﺃَﻏْﺴِﻠُﻪُ ﺇِﺫَﺍ ﻛَﺎﻥَ ﺭَﻃْﺒًﺎ » আলোচ্য হাদীসটি সহীহ। কেননা ﺻﺤﻴﺢ ﺍﺑﻰ ﻋﻮﺍﻧﺔ এর মধ্যেও হাদীসটি উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে রেওয়ায়েতের ক্ষেত্রে মুসলিমের শর্ত সমূহ পালন করা অত্যাবশ্যক করা হয়েছে।.হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ নিজেও মনি নাপাক হওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন। সূত্রঃ- মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা খন্ড ৭ পৃষ্টা ৩২০ হাদীস নং ৩৬৪৭৮।
নিম্নে সনদ সহ উল্লেখ করা হল – ..٣٦٤٧٨ – ﺃَﺑُﻮ ﺍﻟْﺄَﺣْﻮَﺹِ، ﻋَﻦْ ﺳِﻤَﺎﻙٍ، ﻋَﻦْ ﻋِﻜْﺮِﻣَﺔَ، ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ، ﻗَﺎﻝَ : « ﺇِﺫَﺍ ﺃَﺟْﻨَﺐَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ﻓِﻲ ﺛَﻮْﺑِﻪِ ﻓَﺮَﺃَﻯ ﻓِﻴﻪِ ﺃَﺛَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴَﻐْﺴِﻠْﻪُ , ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺮَ ﻓِﻴﻪِ ﺃَﺛَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴَﻨْﻀَﺤْﻪُ ﺑِﺎﻟْﻤَﺎﺀِ »
আলোচ্য আছার দ্বারা জানা গেল যে, হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ নিজেও মনি নাপাক মনে করতেন। সুতরাং তার রেওয়ায়াত –ﺍﻟﻤﻨﻰ ﺑﻤﻨﺰﻟﺔ ﺍﻟﻤﺨﺎﻁএর মধ্যে ভিন্ন ব্যাখ্যার অবকাশ আছে। যেমন কেউ কেউ বলেন, এই বর্ণানার মাধ্যমে মনিকে পবিত্র সাব্যস্ত করা তার উদ্দেশ্য ছিল না। বরং সাদৃশ্য দিয়েছেন। মনি ও নাকের শ্লেষ্মা উভয় বস্ত আঠালোর দিক বিবেচনায় এক।
বিশুদ্ধতম মত এই যে, হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ এর উদ্দেশ্য ছিল এ কথা বুঝানো যে, মনি ডলার দ্বারা পবিত্র হয়ে যায়।যেমন ভাবে নাকের শ্লেষ্মা গাঢ় ও শুষ্ক হলে ডলার দ্বারা দূর হয়ে যায়। আর ইমাম শাফেয়ী রাহঃ এর আরেকটি কিয়াসী দলীল ছিল,মনি দ্বারা নবী রাসূলগণকে সৃষ্টি করা হয়েছে তাই তা পাক। আহনাফের অর্থাৎ আমাদের পক্ষথেকে এর উত্তর হল এভাবে দলীল পেশ করা তার জন্য বেমানান। কেননা এটা শরীয়ত স্বীকৃত এবং সর্বজন স্বীকৃত বিষয় যে, অবস্থার রুপ পরিবর্ত হওয়ার ফলে নাপাক বস্তু পাক হয়ে যায়। সুতরাং মনি প্রথমত গোশতের টুকরায় অতঃপর তা থোকে বাচ্চায় রুপান্তরিত হওয়ায় ﻗﻠﺐ ﻣﺎﻫﻴﺖ তথা অসল রুপ পরিবর্তিত হওয়ায় তার মধ্য পবিত্রতা এসেছে।.বস্তুত নবী রাসূলগল এই মনি থেকে সৃষ্টি বলে মনি পাক এই কিয়াস অত্যন্ত দুর্বল। স্বয়ং ইমাম নববী রহঃ ( যিনি শাফয়ি মাযহাবের অনুসারি ছিলেন)আমাদের মাযহাব অনুসারীগণের অনেক এধরনের বহু কেয়াস ও মুনাসাবাতের কথা উল্লেখ করেছেন, যা সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আমরা তারে সমর্থন দিতে পারি না এবং এগুলো দিয়ে দলিল প্রদান করা বৈধ ও মনে করি না। সর্বোপরি এগুলো লিখে সময় অপচয় করাও পছন্দ করি না। সূত্রঃ- শরহুল মুহাযযাব ২/৫৫৪
ইমাম নববী রাহঃ এর কথা দ্বারা এই কথা পরিষ্কার হয়ে গেল, যারা মনি পাক বলেন, তাদের দলীল গ্রহণযোগ্য নয়।তাই বীর্য নাপাক। এটিই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। এটিকে অস্বিকার করার কোন সুযোগ নেই। বীর্য পাক হবার স্বপক্ষে কোন দলীল নেই। নাপাক বস্তু দ্বারা কোন কিছু সৃষ্টি হলে উক্ত বস্তু সর্বদা নাপাক থাকা একটি হাস্যকর কথা। কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে,وَإِنَّ لَكُمْ فِي الْأَنْعَامِ لَعِبْرَةً ۖ نُّسْقِيكُم مِّمَّا فِي بُطُونِهِ مِن بَيْنِ فَرْثٍ وَدَمٍ لَّبَنًا خَالِصًا سَائِغًا لِّلشَّارِبِينَ [١٦:٦٦ তোমাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তুদের মধ্যে চিন্তা করার অবকাশ রয়েছে। আমি তোমাদেরকে পান করাই তাদের উদরস্থিত বস্তুসমুহের মধ্যে থেকে গোবর ও রক্ত নিঃসৃত দুগ্ধ যা পানকারীদের জন্যে উপাদেয়। [সূরা নাহল-৬৬]
উক্ত আয়াতে পরিস্কার ভাষায় বলা হচ্ছে গোবর আর রক্ত দ্বারা তৈরী হয় দুধ। আর গোবর ও রক্ত যে নাপাক এটাতো আশা করি ফেতনাবাজ আহলে হদস সাহেবরা অস্বিকার করবেন না। তো নাপাক গোবর ও রক্ত দ্বারা তৈরী দুধ ও কি নাপাক? না পাক?নিশ্চয় পাক। তাহলে বুঝা গেল কোন বস্তু দ্বারা নাপাক বস্তু দ্বারা তৈরী হলেই তা নাপাক হওয়া আবশ্যক নয়। তা’ই বীর্য নাপাক হলেও তার দ্বারা সৃজিত মানুষ নাপাক নয়। যেমন নাপাক গোবর ও রক্ত দ্বারা সৃজিত দুধ নাপাক নয়।বীর্য নাপাক হবার বিষয়টি পরিস্কার হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। তা’ই এ বিষয়ে যুক্তি পেশ করা মুর্খতা ও হাদীস অস্বিকার করার মানকিতা ছাড়া আর কিছু নয়। عَمْرُو بْنُ مَيْمُونٍ، قَالَ: سَأَلْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ [ص:56] فِي الثَّوْبِ تُصِيبُهُ الجَنَابَةُ، قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: «كُنْتُ أَغْسِلُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ يَخْرُجُ إِلَى الصَّلاَةِ، وَأَثَرُ الغَسْلِ فِيهِ» بُقَعُ المَاءِ অনুবাদ- আমার বিন মাইমুন রহঃ সুলাইমান বিন ইয়াসার রাঃ কে বীর্য লাগা কাপড়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,হযরত আয়শা রাঃ বলেছেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাপড় থেকে তা ধুয়ে ফেলতাম তারপর তিনি নামাযের জন্য বের হতেন এমতাবস্থায় যে,কাপড়ে পানির ছাপ লেগে থাকতো। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৩১, ২২৯} এ পরিচ্ছেদের অধীনে গায়রে মুকাল্লিদ আলেম ওহীদুজ্জামান সাহেব লিখেছেনঃ “ইমাম বুখারী রহঃ এ পরিচ্ছেদে বীর্য ছাড়া অন্য কোন নাপাকীর কথা উল্লেখ করেননি। হয়তো বাকি নাপাককে বীর্যের উপরই কিয়াস করেছেন। এর দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, ইমাম বুখারী রহঃ এর নিকট বীর্য নাপাক। {তাইসীরুল বারী-১/১৭০} সুতরাং, ইমাম বুখারীর বিরোধীতা করে বীর্যকে কথিত আহলে হাদীসরা দলীল ছাড়াই সর্বাবস্থায় পবিত্র বলে থাকে তাদের আকাবীরদের অন্ধ তাকলীদ করে । খাওয়া-পান করা সবই মনে হচ্ছে জায়েজ তাদের কাছে?
!يَا عَمَّارُ إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ: مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالْقَيْءِ وَالدَّمِ وَالْمَنِيِّ আম্মার বিন ইয়াসার রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে হয়, যথা-১-পায়খানা, ২-প্রশ্রাব, ৩-বমি, ৪-রক্ত, ৫-বীর্য। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮}
হযরত ওমর বিন খাত্তাব রাঃ বলেন- বীর্য সিক্ত থাকলে তা ধুয়ে ফেল, আর শুকিয়ে গেলে তা খুটিয়ে ফেল। {মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৯৩৩}
তাছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা সিক্ত থাকলে ধৌত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর কাপড়ে লাগলে তা ধৌত করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাক হলে ধৌত করার নির্দেশনা দিলেন কেন? আর নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাপড়ে যে বীর্য লেগে শুকিয়ে গেয়েছিল, তা তিনি খুটিয়ে তুলে ফেলাটাই প্রমাণ করে তা পাক থাকলে খুটে ফেলে দেয়ার দরকার কি? যেমন কাপড়ে যদি আটা লেগে শুকিয়ে যায়, তাহলে তা খুটিয়ে ফেলে দিলে তা একেবারেই উঠে যায়, এমনি বীর্যও শুকিয়ে শক্ত হয়ে গেলে তা তুলে ফেললে তার কোন কিছু আর বাকি থাকে না, তাই নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুটিয়ে তুলে ফেলার পর তা না ধুয়েই নামায পড়েছেন। বীর্য পাক এজন্য নয়।
এছাড়া অন্যান্য হাদীসে এসেছে-
.ﻳَﺎ ﻋَﻤَّﺎﺭُ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻳُﻐْﺴَﻞُ ﺍﻟﺜَّﻮْﺏُ ﻣِﻦْ ﺧَﻤْﺲٍ : ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻐَﺎﺋِﻂِ ﻭَﺍﻟْﺒَﻮْﻝِ ﻭَﺍﻟْﻘَﻲْﺀِ ﻭَﺍﻟﺪَّﻡِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻨِﻲّ.ِ আম্মার বিন ইয়াসার রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে হয়, যথা-১-পায়খানা, ২-প্রশ্রাব, ৩-বমি, ৪-রক্ত, ৫-বীর্য। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮} সুতরাং বুঝা গেল যে, বীর্য নাপাক। তা শুকনো হলে খুটিয়ে তুলে ফেলতে হবে। আর সিক্ত হলে ধুয়ে ফেলতে হবে। কাপড়ে বীর্য লেগে থাকলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়লে তা শুদ্ধ হবে না। সুতারাং, যারা বলে বীর্য পাক তাদের কথা সঠিক নয়। ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢবীর্য পাক নয়; নাপাক। সহীহ হাদীস মানার দাবিদার খবিশদের অপপ্রচার থেকে দূরে থাকুন!
নতুন কিছু অভিজ্ঞতা হলো