কুরবানীর সাথে আকিকা করা জায়েয, সেটা হানাফী মাযহাবের নির্ভরযোগ্য সলফ-খলফের সর্বাজন কর্তৃক স্বীকৃত। নিম্নে কিছু কিতাবের বর্ণনা ও রেফারেন্স দেয়া হল-
*ইমাম আবু বকর জাসসাস রহঃ (৩৭০হিঃ) লিখেন:-“وإذا كانت كلها للله تعالى وأرادوها من
অর্থাৎ:- কুরবানিতে যখন প্রত্যেকের উদ্দেশ্য হবে আল্রাহর নৈকট্য অর্জন করা,কিন্তু কারণ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। একজনের উদ্দেশ্য হাদি,অপরজনের হজ্বে কেরানের দম,অপরজনের উদ্দেশ্য কুরবানি বা অন্য কিছু, এক সা্থে সকলেরটা আদায় হবে।(শরহু মুখতাসারিত তাহাবী,৭/৩৫২.দারুল বাশায়িরিল ইসলামিয়া)
*ইমাম সারাখসি রহ. (মৃত্যু ৪৮৩ হি.) বলেন:ويستوي إن كان قصدهم جميعا التضحية أو قصد بعضهم قربة أخرى عندنا
অর্থাৎ যদি সবার উদ্দেশ্য হয় কুরবানি, অথবা কারো উদ্দেশ্য হয় অন্য কোন ইবাদত, তাহলে সকলেরটা একসাথে আদায় হয়ে যাবে।(আল-মাবসুত,১১/১৫.মাকতাবারশিদিয়্যাহ)
*ইমাম মালিকুল উলামা কাসানী রহ. (মৃত্যু ৫৮৭ হি. ) বলেন:وكذلك ان أراد بعضهم العقيقة عن ولد ولد له من قبل لان ذلك جهة التقرب إلى الله تعالى عز شأنه بالشكر على ما انعم عليه من الولد كذا ذكر محمد رحمه الله في نوادر الضحايا
অর্থাৎ যদি কেউ কুরবানির সাথে আকিকার নিয়ত করে,তাহলে আদায় হয়ে যাবে। কেননা আকিকার দ্বারা উদ্দেশ্য হল আল্রাহর সন্তুষ্টি অর্জন। সন্তান দানের মাধ্যমে আল্রাহ তার উপর যে অনুগ্রহ করেছেন,সেটার শুকরিয়া আদায়ের জন্য আকিকা করা হয়। এমনটা বলেছেন ইমাম মুহাম্মদ রহঃ।(বাদায়িউস সানায়ি’,৬/২৯১.দারুল হাদীস ক্বাহেরা।)“
*ফতোয়া আলমগীরিতে” আছে:”وكذا إذا أرادت بعضهم العقيقة عن ولد من قبل…………………….”যদি কেউ কুরবানির সাথে আকীকার ইচ্ছা করে,তাহলে তা আদায় হয়ে যাবে।(ফতোয়া আলমগীরি,৫/৩৫১.মাকতাবাতুল ইত্তেহাদ)
*ইবনে আবেদীন শামি রহ. লিখেন:وكذا لو أراد بعضهم العقيقة عن ولد قد ولد له من قبل لأن ذلك جهة التقرب بالشكر على نعمة الولد ذكره محمد ولم يذكر الوليمة .
অর্থাৎ এমনি ভাবে যদি কেউ কুরবানির সাথে আকিকার ইচ্ছে করে,তাহলে আদায় হয়ে যাবে। কারণ, আকিকাও আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি ইবাদত।
(হাশিয়াতু ইবনে আবেদীন,৬/৩৩৬ .এইচ,এম সাইদ) এ বিষয়ে আরো নিম্নোক্ত কিতাবাদি দেখা যেতে পারে। * “ফতোয়া কাজিখান” ৩/২৪৬.মাকতাবাতুল ইত্তেহাদ। *“ফতোয়া বাযযাযিয়া” ৩/১৫৭.মাকতাবাতুল ইত্তেহাদুল। * “ফাতহু বাবিল ইনায়াহ” ৩/৭৭ .এইচ,এম সাইদ কোম্পানি। *“আল মুহিতুল বুরহানী” ৮/৪৭৭ , ইদারাতুল কুরআন।*“তাবয়িনুল হাকায়িক” ৬/৪৮৪, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ. *“আল জাওহিরাতুন নায়্যিরাহ” ২/৪৫১. আল মাকতাবাতুল হাক্কানিয়াহ।