বঙ্গবন্ধুর ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী:
জন্ম : ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ রাত ৮টায় গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম হয়।
পিতা ও মাতার নাম : শেখ লুৎফর রহমান ও শায়েরা খাতুন।
শিক্ষা জীবন : গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল। গোপালগঞ্জের মিশন হাই স্কুল থেকে ১৯৪২ সালে মেট্রিক পাস করার পর তিনি কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন। কলকাতা থেকে তিনি ১৯৪৭ সালে বি.এ. পাস করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির পর ঢাকায় চলে আসেন এবং আইন বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এ সময়েই তিনি জাতীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
স্ত্রীর নাম : ফজিলাতুননেছা মুজিব
সন্তান-সন্তুতি : শেখ হাসিনা, মরহুম শেখ কামাল, শেখ রেহানা, মরহুম শেখ জামাল, মরহুম শেখ রাসেল।
বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ : কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রæয়ারি তারিখে শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক সভায় আয়োজন করে। লাখো জনতার এই সম্মেলনে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি প্রদান করা হয়।জুলিও কুরি পুরস্কার লাভ : ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর বিশ্বশান্তি পরিষদের দেয়া সর্বোচ্চ সম্মান ‘জুলিও কুরি’ সম্মাননা লাভ করেন।
এক নজরে রাজনৈতিক জীবন :
১৯২০ : ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৩৯ : গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি। ৮ম শ্রেণিতে অধ্যয়ন কালে জীবনের প্রথম-৭ দিনের কারাবাস।
১৯৪০ : গোপালগঞ্জ মহকুমা মুসলিম লীগের ডিফেন্স কমিটির সেক্রেটারী নির্বাচিত হন।
১৯৪২ : প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
১৯৪২ : কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি।
১৯৪৪ : ফরিদপুর ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশনের সেক্রেটারী নির্বাচিত।
১৯৪৬ : কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত।
১৯৪৭ : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি।
১৯৪৮ : রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদের পিকেটিং-এর সময় গ্রেফতার।
১৯৪৯ : মাওলানা ভাসানীর সাথে ভুখা মিছিলে নেতৃত্বদান ও কারাবরণ। ২৩ জুন আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম জেলে থেকেই সহ-সম্পাদক নির্বাচিত।
১৯৫০ : ১১ মার্চ ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ দিবসে পুনরায় গ্রেফতার।
১৯৫২ : প্রাদেশিক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত।
১৯৫৪ : যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে পাক জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত।
১৯৫৫ : পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত।
১৯৫৬ : পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক মন্ত্রিসভায় যোগদান।
১৯৫৭ : ১১ জন সদস্যসহ নয়া চীনে শুভেচ্ছা সফর।
১৯৫৮ : ৮ অক্টোবর পূর্ব পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ গ্রেফতার।
১৯৫৯ : ১৪ মাস কারা ভোগের পর মুক্তি লাভ।
১৯৬১ : জজকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা।
১৯৬২ : ৬ ফেব্রæয়ারি পাকিস্তান জন নিরাপত্তা অর্ডিন্যান্সে গ্রেফতার।
১৯৬৪ : দাঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির আহŸায়ক নির্বাচিত।
১৯৬৬ : আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে নির্বাচিত।
১৯৬৬ : ১৮ মার্চ আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে ৬ দফা গৃহীত হয়।
১৯৬৭ : ২৭ ফেব্রæয়ারি একটি বক্তৃতা দানের অভিযোগের দায়ের কৃত মামলায় ১ মাস বিনাশ্রম কারাদÐ।
১৯৬৮ : আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার।
১৯৬৯ : আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ২২ ফেব্রæয়ারি বিনাশর্তে মুক্তি লাভ।
১৯৭০ : জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ।
১৯৭১ : ১১ জানুয়ারি মুজিব-ইয়াহিয়া ঢাকায় সাক্ষাৎ। ১৬ ফেব্রæয়ারি পার্লামেন্টারী পার্টি নেতা নির্বাচিত। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দান সোহরাওয়ার্দী) উদ্যানে ঐতিহাসিক ভাষণ দান।
১৯৭১ : মার্চ এ জাতির জনক উপাধি লাভ করেন।
১৯৭১ : ১৭ এপ্রিল তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার ভবের পাড়ার বৈদ্যনাথ তলা) আম বাগানে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভা গঠিত হয়।
১৯৭২ : ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ। ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।: ১২/১/৭২ থেকে ২৫/১/৭৫ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন।
১৯৭৪ : ২৫ সেপ্টেম্বর প্রথম বাংলাদেশী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৯ তম অধিবেশনে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দেন।
১৯৭৫ : ২৪ ফেব্রæয়ারি ডিক্রি জারীর মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দলের সম্মিলনে ‘বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ’ (বাকশাল) নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন।
১৯৭৫ : ২৬/১/৭৫ থেকে ১৫/৮/৭৫ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ দুষ্কৃতিকারীদের হাতে মৃত্যুবরণ।
২০০৪ : বিবিসি বাংলার জরিপে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত।