মহান রাব্বুল আলামীন তার ঐশীবাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া তথা মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তার বিধানবলী প্রয়োগের মাধ্যমে তাজকীয়াতুন নফস ও তাছফীয়াতুন নফস অর্থাৎ আত্মাকে যাবতীয় পাপ পংকিলতা হতে মুক্ত করে ইহজাগতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধনের জন্য যুগে যুগে নবী রাসূল (আঃ) কে প্রেরন করেছেন। এ বিষয়ে পবিত্র কুরআনুল করিমের সূরা বাকারার ১৫১ নং আয়াত, সূরা আলে ইমরানের ১৬৪ নং আয়াত, সূরা জুমা এর ২ নং আয়াত সহ আরো অনেক আয়াতে কারিমাতে এরশাদ হয়েছে। নবী রসূলদের আগমনের ধারা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এ দায়িত্ব সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন, তবে-তাবয়েীন, সলফে সালেহীন, আউলিয়া কেরামগণ পালন করে যাচ্ছেন। যেমন- ইসলামের প্রাথমিক যুগের সূফী হযরত ফুযাইল ইবনে আয়াদ্ব (রঃ), হযরত ইবরাহীম ইবনে আদহাম (রঃ) [জন্ম- ১৭৯ হি: মৃঃ ২৮১ হিঃ] মারূফ কারখী (রঃ) [মৃঃ ২০০/২০১ হিঃ] প্রমুখ মনীষীগণ আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে চরম উৎকর্ষতা লাভ করেন। এভাবে ক্রমান্বয়েে ৪৭০ হিজরী সনে জন্ম লাভ করেন,পীরানে পীর দস্তগীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) [ মৃত্যুঃ ৫৬১ হিঃ] ৫৩৬ হিজরীতে খাজা গরীবে নেওয়াজ মুঈনুদ্দীন চিশতী (রঃ), [ মৃতঃ ৬৩৩ হিঃ ] মোজাদ্দেদে আলফেসানী শেখ আহমদ ছেরহিন্দী (রঃ) [জম্ম ৯৭১ হিঃ মৃত্যু ১০৩৪ হিঃ] গাউছুল আযম শাহ আহমদ উল্লাহ আল মাইজভাণ্ডারী (রঃ) [জন্ম ১২৪৩ হিঃ মৃত্যু ১৩২৫ হিঃ] সহ আরো অনেকে যাদের নাম এ সংক্ষিপ্ত পরিসরে বর্ণনা করা অসম্ভব তারা তাদের নিজ আস্তানা পাকে , খানকা শরীফে আধ্যাত্মিক মিশন পরিচালনা করে পথহারা মানবকে আল্লাহ রাসুলের পথ দেখিয়েছেন । অন্রুূপভাবে পথহারা মানুষকে পথের সন্ধান দাতা ও আধ্যাত্মিক জগতের সূর্য হিসেবে নবুয়াতের ক্রমধারা বন্ধের কয়েক শতাব্দির পর জন্মলাভ করেন ইমামুত তরীকত হযরত শাহ্সূফী সৈয়্যদ আব্দুল বারি শাহ্ (রঃ) [ জন্ম মতান্তরে ১২৭৬ হিঃ/১৮৫৮ খৃস্টাব্দে মৃত্যু ১৩১৮ হিজরী /১৯০০ খৃঃ ৬ ই রমজান] যার আলোতে অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবী উজ্জল হয়ে ওঠে। তাকে সকলে হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) বলে ডাকতেন। আলোচ্য প্রবন্ধে ঐ মহান ব্যক্তির জীবন চরিত হতে কিয়দাংশ তুলে ধরা হলো।
নাম ও বংশ পরিচয়ঃ হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) এর পবিত্র নাম হযরত শাহ্ সুফী সৈয়্যদ আব্দুল বারী শাহ্। তার পিতার নাম সৈয়্যদ আহমদ আলী (রঃ) এবং দাদার নাম ছিল হযরত সৈয়্যদ রমজান আলী (রঃ) তার পিতা দাদা উভয়ে জাহেরী ও বাতেনী জ্ঞানে পরাদর্শী ছিলেন। হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) এর পূর্ব পরুুষদের মধ্য মুহিউদ্দীন অথবা হযরত মুসা (রঃ) পাঠান সৈন্য বাহিনীর পেশ ইমাম হিসাবে দিল্লী হতে বাংলাদেশে তশরিফ আনেন। বাংলাদেশ জয় লাভ করার পর পাঠান সৈন্য বাহিনী বাংলার হুগলী এর বিলগড়ী নামাক স্থানে বসতি স্থাপন করেন। সংখ্যায় তারা প্রায় এক হাজারের কাছাকাছি ছিল। হযরত সৈয়্যদ সাহেবের পরদাদা ও সেখানে বসতি স্থাপন করেন ক্রমশঃ তাদের বংশধর বৃদ্ধি পেতে থাকে।
জন্ম ও জন্ম স্থানঃ হযরত সৈয়্যদ আব্দুল বারী শাহ্ (রঃ) জন্ম তারিখ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছেন, যেমন (১) ডাঃ মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক খতবী সাহেব হায়াতুন নামুজিয়্যাহ বা একটি আদর্শ জীবন এর শুরুতে লিখেছেন ইমামুত ত্বরীকত শাহ সৈয়্যদ আব্দুল বারী (রঃ) (জন্ম ঃ১২৭৬ হিঃ ও ১৩১৮ হিঃ /১৯০০খৃস্টাব্দে ) এবং উক্ত গ্রন্থের ১০ পৃষ্টায়ও অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে। (২) আমাদের পরম শ্রদ্ধা ভাজন মুরুব্বী হযরত আলহাজ¦ সৈয়্যদ শাহজাদা ছাবের আহমদ (মঃ জিঃ আঃ) যিনি সুলতানুল আউলিয়া হাফেজ মুনিরুদ্দীন হালিশহরী (রঃ) এর কনিষ্ট সন্তান, তিনি আয়িনা-ই- মুনিরী এর ২৫ পৃষ্টায় লিখেছেন- ইমামুত তরিকত সৈয়্যদ আবদুল বারী শাহ (রঃ) আনুমানিক ১২৭৩ হিজরী অথবা পরবর্তী সময়ে হুগলী জেলার বিলগড়ী নামক স্থানে জন্ম গ্রহণ করেন। হযরত সৈয়্যদ সাহেবের অন্যতম খলিফা হযরত হামিদ হাসান আলভী আজমগড়ী (রঃ) এর (ওফাত ১৯৫৯ খৃঃ) আদেশক্রমে হযরত হাফেজ সাঈদ খান (রঃ) (জন্ম ১৯০৭ মৃত্যু- ১৯৭৬ খৃঃ) লিখিত খুলনার খালিশপুর এর আব্দুল হক্বসিদ্দীকী কর্তৃক জুন ১৯৭৮ ইং সনে অনুদিত ও প্রকাশিত জীবনী গ্রন্থ সহ প্রত্যেক গ্রন্থকারের মতে হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) ১৩১৮ হিজরী ৬ ই মোতাবেক ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে ইন্তিকাল করেন এবং ইন্তিকালের সময তার বয়স হয়েছিল চল্লিশের উর্ধ্বে। সুতরাং তাঁর জন্ম ১২৭৬ হিজরী হলে তাঁর বয়সস ৪২ বছর আর যদি তাঁর জন্মসন ১২৭৩ হিজরী ধরা হয় তাহলে তাঁর বয়স ৪৫ বছর ( এ বিষয়ে আল্লাহই ভালো জানেন)। (৩) সত্যেে আলোকপাত নামক পুস্তিকায় ১৯ পৃষ্টায় মহান মোশেদ বরহক ( মঃ জিঃ আঃ) হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) এর জন্ম সম্পর্কে বলেছেন- “ সৈয়্যদ আব্দুল বারী শাহ্ (রহঃ) হুগলী জেলার অন্তর্গত বিলগড়ী নামক স্থানে হযরত সৈয়্যদ আহমদ আলী (রহঃ) এর ঘরে জন্ম গ্রহণ করেন।
বাল্যকালঃ হযরত সৈয়্যদ সাহেব প্লীহা বর্ধিত হওয়ার দরুন প্রায় সময় অসুস্থ থাকতেন তাই তাকে তার মাতা খুবই চিন্তিত থাকতেন।এটা লক্ষ করে তাঁর পিতা সৈয়্যদ আহমদ আলী (রঃ) তাঁর মাতাকে উদ্দেশ্য কওে বললেন, “চিন্তা করোনা এ ছেলে এত তাড়াতাড়ি মৃত্যুবরণ করবেনা।”পিতার ইন্তিকালঃ হযরত আব্দুল বারী (রঃ) এর পিতা তাঁর বাল্যকালেই ইন্তিকাল করেন এবং তাঁর মাতাকে অছিয়ত করে গেলেন আমার ইন্তিকালের পর বিলগড়ীতে অবস্থান করোনা, কারণ এখানকার লোকদের আচার-আচারণ খারাপ,আল্লাহ তায়ালার আযাবের আশংকা রয়েছে,মীর নির্দেশ মোতাবেক শ্রদ্ধেয় জননী ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার পর তাকে নিয়ে হুগলীর বালী নামক মহল্লায় চলে যান। পিতৃছায়া উঠে যাওয়ার পর তাঁর লালন পালনের ভার তাঁর শ্রদ্ধেয় জননীর উপর ন্যস্ত হলে তিনি চরকার সাহায্যে সুতা কেটে কানা’য়ত তথা অল্পতুষ্টির মাধ্যমে কালাতিপাত করতে লাগলেন। এ সময় হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) এর বয়স ছিল প্রায় ছয় বছর। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, আমার মহান হুজুর কেবলায়ে আলম (মঃ জিঃ আঃ) এর মোহতারম আব্বাজান হযরত মুহাম্মদ আবদুল কাদির চৌধুরী (রঃ) ও হুজুর বিলায়ে আলম (মঃ জিঃ আঃ) এর বাল্যকালে ইন্তিকাল করেন, এবং অত্যন্ত সহিষ্ণুতার সাথে তার মোহতারেমা আম্মাজান হুজুর কিবলাকে নিয়ে জীবন যাপন করেন।কর্ম প্রেরনাঃ হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) অল্প বয়স্ক হলেও অত্যন্ত অনুভূতিশীল ছিলেন। তিনি মাতার দুঃখের কথা উপলদ্ধি করে তার সমবয়সী বালকগণ ইট বহনের কাজ করতেন বিধায় তিনিও ইট বহনের কাজ নিলেন। কয়েকদিন পর তদারককারী যখন জানতে পারলেন তিনি “সৈয়্যদ” বংশের সন্তান, তখন তাঁকে ইট বহনের পরিবর্তে কড়ি বন্টনের দায়িত্ব দিলেন এবং তাঁকে শ্রদ্ধা ও ভক্তি করতে লাগলেন। চারদিন পর উক্ত তদারককারী তাঁকে এক টাকা দিলেন। তা নিয়ে মোহতারেমা হাতে দিলে তিনি খুশি হয়ে বললেন- বাছা! পরিশ্রম করা লজ্জার বিষয় নয়। বরং কাজের দ্বারাই সম্মান বৃদ্ধি পায়। সর্বদা এই কথা স্মরণ রাখিও।” চাকুরিতে যোগদান ও পদত্যাগঃ হযরত সৈয়্যদ আব্দুল বারী শাহ্ (রঃ) যখন যৌবন কালে পদার্পণ করলেন এবং বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন, তখন আরো রোজী রোজগারের প্রয়োজন বোধ করে রেল বিভাগের চাকুরী নিলেন মাসিত তৎকালীন সময় দশ টাকা বেতন পেতেন। আতি সহজেই জীবনোপকরণ আসতে থাকল।দুঃখ কষ্ট লাঘব হল। লোকজন ইজ্জতের দৃষ্টিতে দেখতে লাগল। কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর দ্বারা মহৎ কাজ আদায় করাবেন। তাই হঠাৎ একদা তিনি ¯^প্নে তাঁর পিতাকে বলতে দেখলেন- “ আমার সন্তান হয়ে হারাম খাচ্ছ” সকাল হতেই এ চাকুরী হতে তাঁর মন উঠে যায়। উপরস্ত কর্মকর্তার নিকট পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করতে হিসাব-নিকাশের দরখাস্ত করলেন। কর্মকর্তা তাকে বুঝায় বললেন- এ রকম চাকুরী দুষ্প্রাপ্য। আপনাকে দশদিনের ছুটি দিলাম এতে আপনার মন মেজাজ ঠিক হয়ে যাবে। দশদিনের পরিবর্তে তিনি তের দিন ছুটি কাটালেন। তারপরও তার মনের অবস্থা পরিবর্তন না হওয়ায় বাদ্য হয়ে কর্মকর্তা তার দরখাস্ত মঞ্জুর করলেনএবং রেল বিভাগের চাকরী হতে ইস্তফা দিলেন। আমাশয় রোগের প্রকোপ ঃ চাকরী থেকে পদত্যগের পর তাঁর আমাশয় রোগের প্রকোপ দেখা দিল। রোগ দিন দিন বৃদ্ধি পেতে লাগল, লোকজন তাঁর আশা ছেড়ে দিল। হঠাৎ একরাতে তাঁর মোহতারাম আব্বাজানকে ¯^প্নে দেখলেন- যে, তিনি মাঠে আগমণ করেছেন। কোন স্থান হতে দুধ নিয়ে এসে ক্ষীর তৈরি করে তাকে খেতে দিচ্ছেন আর তিনি পরিতৃপ্তি সহকারে খেলেন। এরপর হতে ক্রমশঃ রোগ ছেড়ে পূর্ন সুস্থ হলেন। আর ইবাদত ও রিয়াজতের দিকে দিন দিন মন ঝুঁকে যেতে লাগল।এভাবে কিছু দিন পর তাঁর মনে রূহানীয়তের বিভিন্ন কিছু উদয় হতে লাগল। আর তিনি বুঝতে পারলেন যে রূহানীয়তের নিগূঢ় রহস্য সমূহের বাস্তবতা রয়েছে। তাই হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) একজন ইনসানে কামিল তথা সত্যিকারের পীর এর সন্ধান করতে লাগলেন।
সত্যিকারের পীর মোকাম্মেল-এর সন্ধানে হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ)ঃ হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) মনের আবেগ তাঁর শৈশব কালের উস্তাদ মরহুম মৌলানা মির্জা নিয়াজ আলী সাহেবের কাছে ব্যক্ত করলে তিনি তাকে তথাকর একজন পীর শাহ নাজীবুল ইসলামের কাছে নিয়ে গেলেন এবং তার কাছে মুরীদ হলেন। অধির আগ্রহের সহিত ইবাদত বন্দেগী ও তরীকতের কাজ করতে লাগলেন।ভন্ড পীর মুরিদী হতে তওবা ঃ হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) শাহ সাহেবের তরীকতের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে লাগলেন। হঠাৎ করে একদিন পীর ভাইদের মধ্যে কেউ বলল “ এখন তো আপনি মুরিদ হলেন সুতরাং আপনার নামাজ রোজার দরকার নাই।” তখন তিনি বাড়িতে ফিরে এলেন এবং বেনামাজী পীর মুরিদী হতে তওবা করে নিলেন।
চিশতীয়া সিলসিলার বায়’আত ও তা’লীম গ্রহণঃ হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) তরীকতের দীক্ষা গ্রহণ করেছেন নামাজ বেশী পড়ার জন্য এতে বিপরীত হলে তাই তিনি উক্ত পীরকে ত্যাগ করেন। একজন খাঁটি আল্লাহ ওয়ালা পীর তালাশ করতে লাগলেন। সৌভাগ্যক্রমে, সে সময় সে যুগের শ্রেষ্ট বুজুর্গ হযরত মিয়া করিম বক্শ (রঃ) এর আগমন হলো। হযরত মিয়া করিম বক্শ (রঃ) জরিপ বিভাগের পরিদর্শক ছিলেন, তিনি কলিকাতায় অফিসে যাইতে পথিমধ্যে হুগলীর এক মসজিদে অবস্থান করলেন। খবর পেয়ে মৌলানা মিয়া মির্জা নিয়াজ আলী সাহেব আবার তাঁকে নিয়ে হযরত মিয়া করিম বক্শ (রঃ) এর নিকট গেলেন। আর ভাবলেন যে, আজ তৃষ্ণার্তের কাছে কূপ এসে গিয়েছে। হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) যেহেতু প্রথমে একবার ধোকা খেয়েছেন সেহেতু অন্তরে মুরিদ হওয়ার তীব্র আকাংখা থাকা সত্তে¡ও তিনি হযরত মিয়া করিম বক্শ (রঃ) এর নিকট নিজেকে সোপর্দ করে দিতে ইতঃস্তত বোধ করলেন।যাহোক হযরত মিয়া করিম বকশ (রহঃ) এর নিকট এসে তাকে লক্ষ্য করে হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) বললেন যে, আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে আল্লাহ আল্লাহ্ করার পদ্বতি বলে দেন। হযরত মিয়া করিম বক্শ (রঃ) অন্তর দৃষ্টি দ্বারা দেখেতে পেলন যে, তার ভিতরে মা’রিফতের যে অমূল্য সম্পদ রয়েছে উহার বীজ বপন করার উর্বর ক্ষেত্র হল হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) এর পবিত্র বক্ষ মোবারক। তাই এ রত্ম হাত চাড়া করা যাবে না। শর্ত দিলেন মুরীদ হতে হবে। মুরীদ হতে রাজী না হওয়ার প্রথমে হযরত মিয়া করিম বক্শ (রঃ) তাকে চিশতীয়া তরীকতের “পাস আনফাস জিকির” এর পদ্বতি শিখিয়ে দিলেন। গৃহে পৌঁছতেই না পৌঁছাতেই কলব আল্লাহ্ আল্লাহ্ জিকির করতে থাকে। পূর্বে উল্লেখ করা হয়ছে, তিনি প্রথমে হযরত মিয়া করিম কব্শ (রঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করে বলেছিলেন যে,“ আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে আল্লাহ্ আল্লাহ্ করার পদ্বতি বলে দিন” প্রথম সাক্ষাতেই যখন মনের আশা পূরণ হয়ে গেল, আনন্দ চিত্তে আবার সাক্ষাৎ করলেন এবং চিশতিয়া তরীকতের বায়াত গ্রহন করলেন হযরত মিয়া করিম বক্শ (রঃ) তাকে চিশতীয়া তরীকতের জিকির ও মোরাকাবার নিয়মবলী শিখিয়ে দিলেন। আল্হামদুল্লিাহ! মখ্যনে মা’রেফাত হযরত মিয়া করিম বক্শ (রঃ) এর মোরকাবা ও কলবী জিকিরের এ শিক্ষা অমরা আমাদের মোর্শেদে আযম রাঙ্গামাটিয়ায় শফিকীয়া দরবার শরীফের মহান পীর সাহেব কিবলায়ে আলম (মঃজিঃআঃ) হতে লাভ করে থাকি এবং এর মধ্যমে আমরা তার পবিত্র ছিনা মোবারক হতে বাদে মাগরিব বাদে এশা ও বাদে ফযর নামাযের ফয়ুযত লাভ কওে থাকি। আর এ দরবারের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো শয়তানের দূর্গে পরিণত হওয়া বান্দার কলবকে তাজকীয়াতুন নফস ও তাসফিয়াতুন নফস শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে কলবে নূর পয়দা করত ঃ আল্লাহ আল্লাহ জিকির জারী করা কলবী জিকিরের ব্যপারে আইনুল ইলম সহ তাসাউফের অন্যান্য কিতাবে বর্ণনা আছে।
হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশ্তী (রঃ) এর সাথে সাক্ষাৎঃ একদা হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) মোরকাবায় কলবী জিকিরে রত্ম ছিলেন, হঠাৎ দেখতে পেলেন যে হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশ্তী (রঃ) (জন্ম- ৫৩৬ হিঃ মৃঃ ৬৩৩হিঃ) তার ঘরে তাশরীফ আনলেন এবং থাকে লক্ষ্য করে বললেন “সিলসিলা ঠিকই আছে। কিন্তু আপনার তা’লিমের সম্বন্ধ আমার সঙ্গে হবে। ” এর পর হতে সুলুকিয়্যাতের পথে কোন বাধা সৃষ্টি হলে ¯^য়ং হযরত গরীবে নেওয়াজ (রঃ) সাহয্য করত তাকে কুতুবিয়্যাতের সর্বোচ্চ আসনে সমাসীন করালেন এবং হযরত মিয়া করিম বক্শ (রঃ) হতে চিশ্তীয়া তরীকতের খেলাপত লাভ করেন । মোজাদ্দেদীয়া তরীকতের দীক্ষা গ্রহনঃ একদা সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) এর সাথে হুগলী গভর্ণমেন্ট মোহছেনিয়া মাদরাসার হেড মাওলানা শামসুল ওলামা হযরত গোলাম সালমানী (রঃ) (মৃ ১৩৩০ হিঃ ১৫ ই রজব সোমবার) এর সাক্ষাৎ হলে তাঁর থেকে জাহেরীভাবে মোজাদ্দেদীয়া তরীকতের দীক্ষা গ্রহণ করতঃ খিলাফত লাভ করেন। কিন্তু বাতেনীভাবে খোদ মোজাদ্দেদ আল ফেসানী শেখ আহমদ ছেরহিন্দী (রঃ) (জন্ম ৯৭১ হিঃ মৃঃ ১০৩৪ হিঃ) যাবতীয় তা’লীম দিতেন। ( মুরীদ যদি সত্যিকার মুরীদ হয় এবং তরীকত যদি নির্ভেজাল হয় সলফে সালেহীগণ এভাবে সাহায্য করে থাকেন। ইহা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অন্যতম একটি আক্বীদা)।
বিভিন্ন তরীকতের ইমাম এর পক্ষ হতে খিলাফত লাভঃ প্রকাশ্যে ভাবে হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) প্রথমে চিশতীয়া পরে মোজাদ্দেদীয়া তরীকতের খিলাফত লাভ করে তরীকতের তা’লীম মানুষদেরকে দিতে থাকলেন। অপ্রকাশ্যভাবে হযরত উওয়াইস করণী (রঃ) (মৃ- ৬৬ হিঃ), বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) ( জন্ম- ৪৭০ হিঃ মৃ-৫৬১ হিঃ); হযরত আবুল হাসান শাযলী (রঃ) (জন্ম-৫৯৩ হিঃ মৃ-৬৫৪/৫৬ হিঃ), হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দী (রঃ) ও খাজা শায়খ শেহাবুদ্দীন সোহরাওয়ার্দী (রঃ) (মৃঃ ৫৮৭ হিঃ), তাঁকে যথাক্রমে করনীয়া, কাদেরীয়া, শাযলীয়া, নকশবন্দীয়া ও সোহরাওয়ার্দীয়া তরীকতের ত’লীম দিয়ে উক্ত ইমামগণ তাঁদের ¯^ – ¯^ শাজরা হযরত রাসূলুল্লাহ (দঃ) হতে নিজ নিজ নাম উল্লেখ করতঃ হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) নাম উল্লেখ করেন এবং উক্ত তরীকতের তা’লীম দেওয়ার জন্য এজাজত প্রদান করেন। এ সাত তরীকতের শাজরা শরীফ “আয়না-ই- মুনিরী” ও “তাছাউফে মুরীদ ও মুরাদ” কিতাবে আছে।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, হযরত শাহ সৈয়্যদ আব্দুল বারী (রঃ) এর এ সাত তরীকতের খিলাফতের দায়িত্ব হযরত সৈয়্যদ আব্দুল বারী (রঃ) (মৃঃ ১৯০০খৃঃ) হতে হযরত হাফেজ হামেদ হাসান আলভী (রঃ) (মৃতঃ ১৯৫৯ খৃঃ) তাঁর নিকট হতে খাজায়ে বাঙ্গাল হাফেজ মুনির উদ্দীন হালিশহরী (রঃ) (মৃত ১৯৫২খৃঃ) তাঁর নিকট হতে কুতুবুল আলম আল্লামা আলহাজ¦ মাওলানা সৈয়্যদ মীর আহমদ মুনিরী (রঃ) (মৃত ১৯৭৮ খৃঃ) তাঁর নিকট হতে আমাদের ইহ ও পরজগতের কান্ডারী হামিয়ে মাযহাব ও মিল্লাত মুরশেদে মোয়াজ্জাম , উস্তাজুল আসাাতেজা আল্লামা আলহাজ¦ মাওলানা চেীধুরী মুহাম্মাদ শফিকুল ইসলাম মুনিরী সাহেব কিবলা (কদমাহুশ্ শরীফা আলা আইনাইয়া ওয়ারসী ) প্রাপ্ত হয়ে পথহারা মানুষকে আল্লাহ ও তার রাসূলের রেজামন্দির পথের সন্ধান দিচ্ছেন। আর এ তরীকত সমূহের পাঠশালা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেনে আঞ্জুমানে বারীয়া মুনিরীয়া আহমদিয়া বাংলাদেশ এবং অঙ্গ সংগঠন হিসেবে নওজোয়ান রূহানী সন্তানদের সংঘবদ্বভাবে একত্রিত করে রাখার জন্য ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠা করলেন অরাজনৈতিক তরীকত ভিত্তিক আধ্যাত্মিক সংগঠন বারীয়া মুনিরীয়া যুব কমিটি বাংলাদেশ । সাথে সাথে ইলমে দ্বীন তথা শরীয়তের শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন গোপাল ঘাটায় নূরুল উলুম গাউছিয়া আহমদিয়া মাদ্রাসা ,হারওয়ালছড়ি সুজানগর গাউছিয়া মুনিরীয়া মাদ্রাসা ও ২০০১ সালে হুজুর কিবলায়ে আলম এর বাড়িস্থ মুনিরুল উলুম বারীয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা।
জীবন যাপনঃ হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) জাক-জমক পছন্দ করতেন না। সাধারণ কুড়ে ঘরে বসাবাস করতেন তিনি সাদা-সিধে , সহজ সরল প্রকৃতির ছিলেন । মুরীদান ও মুহিব্বীনদের প্রতি খুবই দয়া পরবশ ছিলেন। খাবার পেলে খেতেন না পেলে ২-৩ দিন অনাহারে থাকতেন তবুও তিনি বিচলিত হতেন না। বরং প্রত্যহ নিয়মানুযায়ী ইবাদত,রিয়াজত, মোরাকাবা-মোশোহেদা করে যেতেন, খাবারের মধ্যে তিনি মাছ ও দধির লাচ্ছি পছন্দ করতেন। এমন কি তিনি নিজেও পুকুর হতে সময় সময় মাছ ধরতেন বলে বর্ণনা পাওয়া যায়।
ইবাদত বন্দেগীঃ হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) শরীয়তের পাবন্দী ছিলেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায়, আউয়াবীন, ইশরাক দোহা ও তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় তাঁর নিত্য দিনের অভ্যাস ছিল। সালাতুত তাসবীহ এর নামাজ বাড়ীতে থাকলে দু’বার কোথাও সফরে গেলে একবার করে পড়তেন। তিনি মাগরিবের নামাজের পর ৩ ঘন্টা ও আছরের নামাজের পর ১৫-২০ মিনিট মোরকাবা করতেন বলে তাঁর জীবনী মোবারক লিখকগন বর্ণনা করেছেন। হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) এর অন্তর দৃষ্টির এতই প্রখরতা ছিল যে, আধ্যাত্মিক জগতের যে সমস্ত বিষয়াবলী মোরাকাবার মাধ্যমে জানা যায়, তা তিনি খোলা চোখে জানতেন।
কুতুব-ই-মাদার হতে দীক্ষা লাভঃ হযরত হাফেজ হামেদ হাসান আলভী (রঃ) ( যিনি হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) খলিফা ছিলেন) বর্ণনা করেন হযরত শায়খ আবুল হাসান (রঃ) প্রতিদিন সাইয়িদ ছাহেব (রঃ) কে তা’লীম দেওয়ার জন্যে কা’বা শরীফ হতে হুগলীতে আগমন করতেন। মুহাম্মদ সাঈদ খাঁন ছাহেব বলেন, “এ কথা শুনে প্রথমে আমি অবাক হলাম এবং জানার উদ্দেশ্যে হুজুর কেবলার কাছে আরজ করলাম, “কোথায় মক্কা শরীফ এবং কোথায় হুগলী!” উত্তরে আমার মুরশিদ বললেন বুদে মনযিল ন বুয়াদ দর সফরে রূহানী অর্থাৎ “রূহানী সফরে দূরত্ব বলে কিছুই নাই।”পরবর্তীতে হযরত শেখ আবুল হাসান (রঃ) এর ইন্তিকালের পর কুতুব-ই-মাদারের এ দায়িত্ব রূহানীভাবে মক্কা শরীফে সমাবেশের মাধ্যমে হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) কে প্রদান করা হয়। (বিস্তারিত- হায়াতুন নামুজিয়া ২৫ পৃষ্টা)।
সন্তান-সন্ততিঃ হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) নিঃসন্তান ছিলেন। লোকজন একবার বহু অনুরোধ করার পর সন্তানের জন্য দোয়া করাতে রাজী করালেন। হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) দোয়া করার পর বললেন “আওলাদে রূহানী ইনশাআল্লাহ বহুত হুগী।” অর্থাঃ ইনশাআল্লাহ বাতিনী সন্তান অনেক হবে। “হযরত শাহ মুনির (রঃ) এর দরবারে কয়েকদিন” গ্রন্থের ৬৪ পৃষ্টায় আছে যে, রোজ হাশরে হুজুরে আকরাম (দঃ) সৈয়্যদ আবদুল বারী (রঃ) কে প্রশ্ন করবেন, “আবদুল বারী তোমকো বাল-বাচ্ছা দুনিয়ামে?উত্তরে তিনি আমাদিগকে লক্ষ্য করে আঙ্গুলি তুলে বললেন, “ইয়ে সব বাল-বাচ্ছা হ্যায়”এ “কারণেই হযরত সৈয়্যদ হাফেজ হামেদ হাসান আলভী (রঃ) অছিয়ত নামার মধ্যে যে, “কে কার মুরীদ সেদিকে লক্ষ্য করো না, সকলেই হযরত সৈয়্যদ আব্দুল বারী (রঃ) এর মুরীদ মনে কর।”
সিলসিলার প্রচার ও প্রসারঃ একবার হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রহঃ) তাঁর কক্ষে অযূ করছিলেন। তিনি মনে করলেন আমি একজন নির্জনে বসবসকারী দরিদ্র লোক। মনে হয় এ সিলসিলার কোনো অনুসারী থাকবে না। একথা ভাবতেই তিনি অদৃশ্য হতে আওয়াজ শুনতে পেলেন। কেউ যেন ডেকে বলছেন- আঁ জনাবে আব্দে বারী কি বেশারত আয় আজিজ – এক জামাঁ ছা-রা জাহাঁ আপকে দৌলত যহুর।
বিশিষ্ট খলিফাদের নামঃ ১) কুতবুল ইরশাদ গাউছুজ জামান হযরত হাফেজ হামেদ হাসান আলভী রহঃ। ২) ৩)
ইন্তিকালঃ আধ্যাত্মিক জগতের এ সূর্য ১৯০০ খৃষ্টাব্দে ১৩১৮ হিজরী ৬ ই রমজান বৃহস্পতিবার বান্ডিল শরীফে ইন্তিকাল করেন। পশ্চিম বাংলার হুগলী জিলার বান্ডিল শরীফে তাঁর জ্যোতির্ময় মাজার অবস্থিত।প্রত্যহ হাজার হাজার ভক্ত-মুহিব্বীন তাঁর জিয়ারত করে রূহানী ফয়ূজ হাছিল করেন।সংক্ষেপ করণার্থে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী বাদ দেওয়া হয়েছে। মানছে গোয়াম শরহে ওয়াচকে আঁ জানাবআপ তাবাস্ত আপ তাবাস্ত আপতাব।সে মহান স্বত্ত্বার কী প্রশংসা বর্ণনা করবো। তিনিই তো সূর্য তিনিই তো সূর্য তিনিই তো সূর্য।
হে প্রভু! হযরত সৈয়্যদ সাহেব (রঃ) এর জীবনের উপর এ দু-এক কালিমা আলোকপাত আমার জীবনের গুনাহের কাফফারা হিসেবে কবুল করুন। আমীন।
তথ্য পুঞ্জিঃ ১। সত্যের আলোকপাত ২৯-৩৪ পৃষ্টা, মুছান্নিফঃ রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরীকত, হাদীয়ে দ্বীনো মিল্লাত, পীরে মোকাম্মেল, মুর্শেদে বরহক হযরতুলহাজ¦ শাহছুফি মাওলানা চৌধুরী মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মুনিরী (মঃ জিঃ আঃ)।
২। আয়িনা-ই-মুনিরী ২৫-৩১ পৃষ্ট, মুছান্নিফঃ মুহতারাম আলহাজ সৈয়্যদ শাহজাদা ছাবের আহমদ সাহেব (রহঃ)।
৩। জীবনীঃ শায়খুত তরকিত আলহাজ হাফেজ হযরত হামেদ হাসান আলভী (রহঃ) ১৭-২২ পৃষ্টা
৪। হায়াতুন নামুজীয়্যাহ, মুছান্নিফঃ ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুল হক খতিবী।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
৫। “সওয়ানে হায়াৎ” হযরত শাহ আব্দুল বারী (রঃ), মুছান্নিফঃ হযরত মাওলানা আলহাজ হাফেজ শাহ মুহাম্মদ সাঈদ খান সাহেব (রঃ)
৬। হযরত শাহ মুনির (রঃ) এর দরবারে কয়েকদিন ৬৪ পৃষ্টা মুছান্নিফঃ ডাক্তার এম. এ. করিম এম. বি. (ক্যাল)
৭। তাছাউফ মুরীদ ও মুরাদ ৪৮-৫৮ পৃষ্টা
৮।জীবনী ইমামুত তরীকত শাহ সৈয়্যদ আব্দুল বারী (রহঃ) (ইহা সর্বপ্রথম লিখিত উর্দূ জীবনী) অনুবাদ করেন- আব্দুল হক সিদ্দিকী-খালিশপুর,খুলনা।
৯। সংগঠন পরিচিতি ০৭-০৮ পৃষ্টা মুছান্নিফঃ শাহজাদা মুহাম্মদ ছালাহ উদ্দীন চৌধুরী, (সভাপতি- বারীয়া শফিকুল মুনির যুব কমিটি বাংলাদেশ)।
১০। তাজকেরাতুল আউলিয়া, মুছান্নিফঃ মাওলানা নূরুর রহমান।