মূল কপির লিংক – https://msushafiqy.com/?p=217
কালিমা তৈয়্যিবাহ – لا الٰه الا الله محمد رسول الله
তার অর্থ (ইবাদতের উপযুক্ত) আল্লাহ তায়ালা ভিন্ন অন্য কোন মাবুদ নাই। হজরত মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত পুরুষ। ঐ কালিমা শরিফে চারটি ফরজ আছে-
১। শব্দগুলি শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করা।
২। তার অর্থ বুঝে নেয়া বা জানা।
৩। প্রত্যেক মুসলমান কালিমায়ে তৈয়্যিবার অর্থকে আন্তরিক ভাবে বিশ্বাস করা।
৪। সর্বদা এবিশ্বাসের উপর আটল থাকা। এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট ৭টি বিষয়কে মনে – প্রাণে সত্য জানা, বলা এবং মুখে অঙ্গীকার করা। এর নাম- ঈমান। ঐ ৭টি বিষয় হল-
১। যিনি এই বিশাল জগত সৃষ্টি করেছেন তাঁর নাম- “আল্লাহ তায়ালা”। একথা খালিস ভাবে অন্তরে গেঁথে রাখা।
২। তাঁর ফেরেশতাগণ কে।
৩। তাঁর কিতাব সমূহকে।
৪। তাঁর পয়গাম্বরগণ কে।
৫। কিয়ামত অর্থাৎ শেষ বিচারের দিন কে।
৬। তাকদিরের ভাল-মন্দের উপর বিশ্বাস করা।
৭। মৃত্যুর পর পুণরুত্থানের উপর বিশ্বাস করা।
আল্লাহ তায়ালার উপর ঈমান আনতে হবে- যে সমস্ত বস্তু দৃষ্টি গোচর হয় এবং যা চোখে দৃষ্টি গোচর হয় না, সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা খোদাতায়ালা। তিনি একক তাঁর অংশীদার বা শরীক নেই। তার কোনো পিতা-মাতা ও সন্তান – সন্ততি নেই। তিনি সর্বদা সর্বত্র বিরাজমান আছেন। তাঁর যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন। তিনি সর্বব্যাপী সর্বশক্তিমান। তাঁর শক্তির হ্রাস নাই। তাঁর নাম ও কীর্তি কালে কালে বিদ্যমান থাকিবে। খোদা তায়ালার ফেরেস্তাগণ মেয়েলোক বা পুরুষলোক নন। তাঁদের আহার নেই।তাঁরা জাগ্রতাবস্থায় দিন-রাত আল্লাহ তায়ালার উপাসনায় নিমগ্ন আছেন।
তন্মধ্যে চার জন সর্বশ্রেষ্ঠ – ১। হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম, তিনি পরগাম্বরগণের প্রতি ওহী অবতীর্ণ করতেন। ২। হযরত মিকাইল আলাইহিস সালাম, তিনি যাবতীয় প্রাণীর উপজীবিকা প্রেরণের দায়িত্ব পালন করতেছেন। ৩। হযরত ইসরাফিল আলাইহিস সালাম, তিনি বাঁশি মূখে নিয়ে আল্লাহর হুকমের অপেক্ষায় আছেন। ৪। হযরত আজরাইল আলাইহিস সালাম,তিনি প্রাণীর প্রাণ হরণে প্রবৃত্ত আছেন।
যে যে কিতাবের প্রতি ঈমান আনতে হবে, ১। সহিফা সমূহ ২। তওরাত ৩। জবুর ৪। ইঞ্জীল ও ৫। ফোরকান বা কোরআন শরীফ।