হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, হযরত নবী করীম (সাঃ) ইরশাদ করেন-

পাঁচ ব্যক্তির নামায (কবুল) হয় না ।

১। যে স্ত্রীলোক নিজ স্বামীর প্রতি অসন্তুষ্ট থাকে,

২। যে গোলাম নিজ মনিব থেকে পালিয়ে যায় সে ফিরে না আসা পর্যন্ত ।

৩। সেই বিবাদী ব্যক্তি যে নিজ ভাই-এর সাথে তিন দিনের বেশী কথা বলে না,

৪ । মদে আসক্ত ব্যক্তি এবং

৫। সেই ইমাম যিনি নামায পড়ান অথচ লোকেরা তাঁর প্রতি অসন্তুষ্ট।

লোকদের অসন্তুষ্টি হতে পারে দু’ধরনের। তাদের অসন্তুষ্টি যদি ইমামের কোন

দোষের কারণে হয়, অথবা তিনি অশুদ্ধ কুরআন পাঠ করেন অথচ তারা অন্য ইমাম

পায়, অথবা জামায়াতে তার চেয়ে ভাল জানাশোনা ব্যক্তি থাকেন, তাহলে এটি

অপছন্দীয় এবং ইমামতি করা তাঁর জন্য মাকরূহ হবে। আর যদি তাদের অসন্তুষ্টি

থাকে এজন্য যে, তিনি সৎকাজের আদেশ দেন, তাই তারা ক্ষিপ্ত হয়, অথবা হিংসা

বশতঃ, আর জামায়াতে তার চেয়ে ভাল জানাশোনা ব্যক্তি না থাকে, তাহলে তাদের

অসন্তুষ্টি ধর্তব্য নয়। অতএব তিনি ইমামতি করতে পারবেন- তারা যতই অপছন্দ

করুক।

হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, হযরত নবী করীম (সাঃ)

ইরশাদ করেন, যেসব মুয়ানি সাওয়াবের আশায় আযান দেন, তাঁরা কেয়ামতের

দিন তাদের কবর থেকে আযান দিতে দিতে বের হবেন। মুয়াযযিনের আওয়াজ পাথর,

গাছ, মাটি, মানুষ, প্রাণী, অপ্রাণী যে-ই শুনবে প্রত্যেকেই তার পক্ষে সাক্ষ্য দেবে

এবং তার আওয়াজ যতদূর যাবে ততদূর পর্যন্ত সবকিছু তার জন্য আল্লাহ্র নিকট

ক্ষমা প্রার্থনা করে ও তার আযান শুনে যারা নামায আদায় করে, তাদের সংখ্যার

সমপরিমাণ ছওয়াব তার নামে লেখা হয় এবং তিনি আযান ও ইকামতের মাঝখানে

যে দু’আই করবেন, আল্লাহ্ তাঁকে তা দান করবেন। হয়ত দুনিয়াতে অবিলম্বে দেবেন,

নতুবা আখেরাতে তার জন্য জমা রাখবেন, নতুবা তার থেকে কোন মুসিবত দূর

করবেন।

তাম্বীহুল গাফেলীন- ৩১৯ পৃষ্ঠা