হযরত জোনায়েদ বাগদাদি (র) বলেন:
التَّصَوُّفُ مَبْنِي عَلَى ثَمَانِ خِصَالٍ – السَّخَاءُ وَالرِّضَاءُ والصَّبْرُ وَالْإِشَارَةُ وَالْغُرْبَةُ وَلَبْسُ الصُّوْفِ وَالسَّيَاحَةُ وَالْفَقْرُ أَمَّا السَّحَاءُ فِلْإِبْرَاهِيمَ وَأَمَّا الرِّضَاءُ فَلْإِسْمَاعِيلَ وَأَمَّا الصَّبْرُ فَلأَيُّوبَ وَأَمَّا الْإِشَارَةُ فَلِزَكَرِيَّا وَأَمَّا الْغُرْبَةُ فَلْيَحْيَى وَأَمَّا لُبَسُ الصَّوْفِ فَلِمُوسى وَأَمَّا السَّبَاحَةُ فَلِعِيسَى وَأَمَّا الْفَقْرُ فَلِمُحَمَّدٍ وَعَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ .
তাসাউফের ৮টি নিদর্শন। যথা: সাখাওয়াত, রেজা, সবর, ইশারাত, গুরবাত, পশমী পোশাক, সিয়াহাত এবং আল-ফাকর।
১. সাখাওয়াত (দানশীলতা)। এর উদাহরণ হজরত ইবরাহীম (আ)। তিনি তাঁর এবং পুত্রের জীবন আল্লাহর পথে উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন।
২. রেজা (আল্লাহর সন্তুষ্টি)। এর উদাহরণ হজরত ইসমাঈল (আ)। তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আত্মোৎসর্গ করেছিলেন।
৩. সবর (ধৈর্য) এর প্রতীক হজরত আইউব (আ)। নিজের চোখের সামনে পরিবারের সকলকে ধ্বংস হয়ে যেতে দেখে এবং নিজের সর্ব শরীর কীটে খেয়ে ফেলার পরও তিনি কোনদিন অধৈর্য হন নি।
৪. ইশারাত (ইঙ্গিত) এর উদাহরণ হজরত যাকারিয়া (আ)। তিনি আল্লাহর নির্দেশ পালনার্থে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং ইঙ্গিত ইশারায় কাজ সম্পাদন করতেন।
৫. গুরবাত (অপরিচিত হওয়া) এর উদাহরণ হজরত ইয়াহ্ইয়া (আ) তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নিজের দেশেও অপরিচিত ছিলেন।
৬. পশমী পোশাক পরিধান- হজরত মূসা (আ) পশমী পোশাক ব্যবহার করতেন।
৭. সিয়াহাত (ভ্রমণ) এর উদাহরণ ছিলেন হজরত ঈসা (আ)। তিনি একটি পানপাত্র ও একটি চিরুনী সাথে নিয়ে গৃহ ত্যাগ করেন। পথিমধ্যে একজনকে আঙ্গুল দিয়ে চুল বিন্যাস এবং অঞ্জলি ভরে পানি পান করতে দেখে পান পাত্র এবং চিরুনীও ফেলে দিয়েছিলেন।
৮. আল-ফাকর (দরিদ্রতা) এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হুজুরে আকরাম । সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করার জন্য আল্লাহ পৃথিবীর সকল সম্পদের চাবি তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু একদিন পেট ভরে খাওয়া এবং দুই দিন অনাহারে থাকাকেই তিনি অধিক পছন্দ করলেন। আবার তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন: হে আল্লাহ! তুমি আমাকে দরিদ্র অবস্থায় জীবিত রাখ, দরিদ্র অবস্থায়ই মৃত্যু দান কর এবং দরিদ্রদের সাথে হাশর কর।
( কাশফুল মাহজুব)