হাদিস শরীফ নং-০১

• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পূর্ণিমার চাঁদের চেয়েও সুন্দরতম
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِي، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْثَرُ بْنُ الْقَاسِمِ ، عَنْ أَشْعَثَ يَعْنِي ابْنَ سَوَارٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَ عَنْهُمْ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي لَيْلَةٍ اِضْحِيَانٍ وَعَلَيْهِ حُلَةٌ حَمْرَاءُ، فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ إِلَيْهِ وَإِلَى الْقَمَرِ فَلَهُوَ عِنْدِي أَحْسَنُ مِنَ الْقَمَرِ

√ হযরত জাবের ইবনে সামুরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি পূর্ণিমা রাত্রির স্নিগ্ধ আলোতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে লাল ডোরাকাটা চাদর ও লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় দেখতে পেলাম। তখন আমি একবার তাঁর দিকে ও আরেকবার চাঁদের দিকে তাকাতে থাকলাম। আমার নিকট পূর্ণিমার চাঁদের চেয়েও তিনি অধিকতর সুন্দর।
(আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ:বাবু মা-যা আ ফি খালকি রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-১০ এবং মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে)

হাদিস শরীফ নং-০২

• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আকর্ষণীয় অবয়ব (দেহ মুবারক)

حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ الْبَصْرِيُّ ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ ، عَنْ حُمَيْدٍ. عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَ عَنْهُمْ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبِّعَةً، لَيْسَ بِالطَّوِيلِ وَلَا بِالْقَصِيرِ حَسَنَ الْجِسْمِ ، وَكَانَ شَعَرُهُ لَيْسَ بِجَعْدٍ، وَلَا سَبْطٍ أَسْمَرَ اللَّوْنِ ، إِذَا مَشَى يَتَكَفَأُ

√ হযরত আনাস ইবনে মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মধ্যমাকৃতির ছিলেন। বেশি লম্বা কিংবা বেশি খাটোও ছিলেন না। তাঁর দেহ (শরীর) মুবারক ছিল খুব আকর্ষণীয়। আর তাঁর চুল মুবারক বেশি কোঁকড়ানো ছিল না আবার একেবারে সোজাও ছিল না। তিনি ছিলেন গৌরবর্ণের। পথ চলার সময় তিনি সামনের দিকে কিছুটা ঝুঁকে চলতেন। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ: বাবু মা-যা আ ফি খালকি রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-০২ এবং মুসনাদে আবু ইয়ালা, শারহুস সুন্নাহ লিল বাগভী গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-৩

•রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অপরূপ অতুলনীয় সৌন্দর্য
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ قَالَ : سَمِعْتُ الْبَرَاءُ بْنَ عَازِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَعَنْهُمْ يَقُوْلُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلًا مَرْبُوعًا بُعَيْدَ مَا بَيْنَ الْمَنْكِبَيْنِ عَظِيمَ الْجُمَّةِ إِلَى شَحْمَةِ أُذُنَيْهِ ، عَلَيْهِ حُلَّةٌ حَمْرَاءُ، مَا رَأَيْتُ شَيئًا قَطُّ أَحْسَنَ مِنْهُ

√ আবু ইসহাক হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বারাআ ইবনে আযিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মধ্যমাকৃতির ছিলেন। তাঁর দুই কাঁদের মধ্যবর্তী অংশ তুলনামূলক প্রশস্ত ছিল। তাঁর ঘন চুলগুলো কানের লতি পর্যন্ত লম্বা ছিল। তাঁর দেহে লাল ডোরাকাটা লুঙ্গি ও চাদর শোভা পেত। আমি তাঁর থেকে অধিক সুদর্শন কাউকে কখনো দেখিনি।
(আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ: বাবু মা-যা আ ফি খালকি রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-০৩ এবং সহিহ বুখারী, সহিহ মুসলিম, সুনানে নাসাঈ গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-৪

• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন শুভ্রকায় ও লাবণ্যময়
حَدَّثَنَا وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعِ الْمَعْنَى وَاحِدٌ ، قَالَ أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُنَ عَنْ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِي ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الطَّفَيْلِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَعَنْهُمْ ، يَقُولُ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا بَقِيَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ أَحَدٌ رَآهُ غَيْرِي ، قُلْتُ صِفْهُ لِي ، قَالَ كَانَ أَبْيَضَ ، مَلِيْحًا مُقَضَدًا

√ সাঈদ আযযুইরী রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি হযরত আবু তুফায়েল (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি, তবে তাঁকে যারা দেখেছেন তাদের মধ্যে আমি ছাড়া কেউ পৃথিবীতে বেঁচে নেই। আমি বললাম (বর্ণনাকারী) আপনি আমার কাছে তাঁর বিবরণ উপস্থাপন করুন। তিনি বললেন, তিনি ছিলেন শুভ্রকায় মধ্যম আকৃতির লাবণ্যময়।
(আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ:বাবু মা-যা আ ফি খালকি রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-০৪ এবং সহিহ বুখারী, মুসনাদে আহমাদ গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-৫
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেহারা মুবারক চাঁদের মতো উজ্জ্বল ও গোলাকার
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيْعِ ، حَدَّثَنَا حُمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الرُّوَاسِيُّ، عَنْ زُهَيْرٍ، عَنْ ابِي إِسْحَاقَ، قَالَ: سَأَلَ رَجُلٌ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَ عَنْهُمْ أَكَانَ وَجْهُ رَسُوْلِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ السَّيْفِ؟ قَالَ لَا ، بَلْ مِثْلَ الْقَمَرِ

√ হযরত আবু ইসহাক হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার হযরত বারা ইবনে আযিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেহারা মুবারক কি তরবারির মতো উজ্জ্বল ছিল? তিনি বললেন, না; বরং তাঁর চেহারা ছিল চাঁদের মতো (উজ্জ্বল ও গোলাকার)।
(আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ:বাবু মা-যা আফি খালকি রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-১১ এবং সহিহ বুখারী, মুসনাদে আহমাদ, সুনানে দারেমী, সহিহ ইবনে হিব্বান গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-৬
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখ, চোখ ও পা মুবারকের অতুলনীয় বর্ণনা
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَى قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ سَمُرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَ عَنْهُمْ يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَلِيْعَ الْفَمِ ، أَشْكَلَ الْعَيْنِ ، مَنْهُوسَ الْعَقِبِ. قَالَ شُعْبَةُ قُلْتُ لِسِمِاكٍ ، مَا ضَلِيعُ الْفَمِ ؟ قَالَ عَظِيمُ الْفَمِ . قُلْتُ مَا أَشْكَلُ الْعَيْنِ؟ قَالَ طَوِيلُ شِقِّ الْعَيْنِ. قُلْتُ مَا مَنْهُوسُ الْعَقِبِ؟ قَالَ قَلِيلُ لَحْمِ الْعَقِبِ

√ সিমাক ইবনে হারব হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি হযরত জাবির ইবনে সামুরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি- রাসূলুল্লাহ ছিলেন ‘যালিউল ফাম’,’আশকালুল আইন’ ও ‘মানহুসুল আকিব’। শুবা র. বলেন, আমি সিমাককে বললাম, ‘যালিউল ফাম’ কী? তিনি বললেন, প্রশস্ত মুখ বিশিষ্ট। আমি আবার বললাম ‘আশকালুল আইন’ কী? তিনি বললেন, ডাগর/প্রশস্ত চক্ষু বিশিষ্ট। আমি বললাম, ‘মানহুসুল আকিব’ কী? তিনি বললেন, স্বল্প গোশতবিশিষ্ট পা।
(আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ: বাবু মা-যা আ ফি খালকি রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং- ০৯ এবং সহিহ মুসলিম, মুসনাদে আহমদ, সহিহ ইবনে হিব্বান গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-৭
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কথা বলতেন তাঁর দাঁত মুবারক থেকে নূরের ঝলক বের হতো
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي ثَابِتِ الزُّهْرِيُّ ، قَالَ حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ ابْنَ أَخِي مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا وَعَنْهُمْ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْلَجَ الثَّنِيَّتَيْنِ إِذَا تَكَلَّمَ ربِّي كَالنُّورِ يَخْرُجُ مِنْ بَيْنِ ثَنَايَاهُ

√ হযরত ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনের দাঁত মুবারক কিছুটা ফাঁক ছিল (অপরূপ ছিল)। তিনি যখন কথা বলতেন মনে হতো তাঁর সামনের দাঁত মুবারকসমূহ থেকে নূরের ঝলক বের হচ্ছে। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়া লিত তিরমিযি: বাবু মা-যা আ ফি খালকি রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-১৫ এবং সুনানে দারেমী, তাবরানীর মু’জামুল কাবীর গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-৮
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চারিত্রিক মাধুর্যে ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيُّ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ . قَالَ خَدَمْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشْرَ سِنِينَ ، فَمَا قَالَ لِي أُفٍّ قَطُّ، وَمَا قَالَ لِشَيْءٍ صَنَعْتُهُ لِمَ صَنَعْتَهُ، وَلَا لِشَيْءٍ تَرَكْتُهُ لِمَ تَرَكْتَهُ؟ وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ خُلُقًا، وَلَا مَسِسْتُ خَدًّا وَلَا حَرِيرًا، وَلَا شَيْئًا كَانَ الْيَنَ مِنْ كَفِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ . وَلَا شَمِيْتُ مِسْكًا قَطُّ، وَلَا عِدْرًا كَانَ أَطْيَبَ مِنْ عَرَقِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

√ হযরত আনাস ইবনে মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দশ বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমত করেছি; কিন্তু এ সময়ের মধ্যে তিনি কখনো আমার কোন কাজে উহ শব্দটি পর্যন্ত উচ্চারণ করেন নি। আমি করেছি এমন কোন কাজের ব্যাপারে কখনো বলেননি যে, কেন করেছো? আর কোন বিষয় না করার ব্যাপারেও তিনি কখনো জিজ্ঞেস করেননি যে, কেন করোনি? চরিত্রিক মাধুর্যে তিনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ। কোন রেশমি কাপড় বা অন্য কোন এমন নরম জিনিস স্পর্শ করিনি যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বরকতময় হতের তালুর চেয়ে অধিক নরম। আমি এমন কোন আতর বা সুগন্ধির সুবাস নেইনি যা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘাম মুবারকের সুগন্ধি হতে অধিক সুগন্ধিময়। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ:বাবু মা-যা আ ফি খুলুকে রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-৩৪৫ এবং মুসনাদে আহমাদ, শরহুস সুন্নাহ, সুনানে দারেমী গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-৯
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শোভনীয় আচরণ ও ক্ষমাশীলতা
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَارٍ ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللهِ الْجَدَلِي وَاسْمُهُ عَبْدُ بْنُ عَبْدٍ ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَعَنْهُمْ أَنَّهَا قَالَتْ لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاحِشًا، وَلَا مُتَفَحِّشًا وَلَا صَخَابًا فِي الأَسْوَاقِ، وَلَا يَجْزِئُ بِالسَّيِّئَةِ السَّيِّئَةَ، وَلَكِنْ يَعْفُو وَيَصْفَحُ

√ হযরত আয়িশা সিদ্দিকাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় কোন প্রকার অশোভনীয় কথা বলতেন না। বাজারেও তিনি উচ্চস্বরে কথা বলতেন না। মন্দের প্রতিকার মন্দ দ্বারা করতেন না: বরং ক্ষমা করে দিতেন এবং বর্জন করতেন। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ:বাবু মা-যা আ ফি খুলুকে রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-৩৪৭ এবং মুসনাদে আহমাদ, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, সহিহ ইবনে হিব্বান, শুয়াবুল ঈমান লিল বায়হাকী গ্রন্থেও হাদিসটা রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-১০
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অতুলনীয় মুচকি হাসি
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ. قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ جَزْءٍ أَنَّهُ قَالَ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَكْثَرَ تَبَسُّمًا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

√ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হারিস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেয়ে অধিক মুচকি হাস্যকারী আর কাউকে দেখিনি। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ:বাবু মা-যা আ ফি দ্বাহকে রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-২২৭ এবং মুসনাদে আহমাদ, সহিহ বুখারী, সুনানে দারা কুতনী গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-১১
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মোহরে নবুওয়াত
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَعْقُوبَ الطَّالْقَانِي قَالَ : أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ بْنُ جَابِرٍ ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَ عَنْهُمْ قَالَ: رَأَيْتُ الْخَاتَمَ بَيْنَ كَتِفَيْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، غُدَّةً حَمْرَاءَ مِثْلَ بَيْضَةِ الْحَمَامَةِ

√ হযরত জাবির ইবনে সামুরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দু’কাঁদের মধ্যবর্তী স্থানে মোহরে নবুওয়াত দেখেছি। আর তা ছিল যেন কবুতরের ডিমের ন্যায় লাল গোশতপিন্ড। (আশ শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ: বাবু মা-যা আ ফি খাতামিন নবুওয়াতি, হাদিস শরীফ নং- ১৭ এবং সহিহ মুসলিম, মুসনাদে আহমদ, মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন, সহিহ ইবনে হিব্বান গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-১২
• রাসূলুল্লাহ এর চুল মুবারক দু’কানের মাঝামাঝি পর্যন্ত লম্বা ছিল
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ قَالَ أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ ، عَنْ حُمَيْدٍ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ كَانَ شَعُرُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى نِصْفِ أُذُنَيْهِ

√ হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাথার চুল মুবারক তাঁর দু’কানের মধ্যভাগ পর্যন্ত লম্বা ছিল। (আশ শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ: বাবু মা-যা আ ফি শাআরী রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-২৪ এবং সহিহ মুসলিম, আবু দাউদ, সুনানে নাসায়ী গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।

হাদিস শরীফ নং-১৩
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চুল মুবারক ছিল কিছুটা কোঁকড়ানো
حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْمَصَاحِفِي سُلَيْمَانُ بْنُ سَلْمٍ ، قَالَ حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ أَبِي الْأَخْضَرِ ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبْيَضَ كَانَمَا صِيغَ مِنْ فِضَّةٍ رَجِلَ الشَّعْرِ

√ হযরত আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুভ্রতায় ছিলেন রৌপ্যের ন্যায় এবং তাঁর চুল মুবারকগুলো ছিল কিছুটা কোঁকড়ানো (এই কিছুটা কোঁকড়ানোর জন্য অপরূপ ছিল)। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ, বাবু মা-যা আ ফি খালকি রাসূলিল্লাহ , হাদিস শরীফ নং- ১২ এবং ইমাম সুয়ূতী র. এর জামেউস সগীর গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-১৪
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুরমা ব্যবহার
حَدَّثَنَا قُتَبَةُ بْنُ سَعِيدٍ ، قَالَ أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَلِ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رضي الله عنهما ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ خُثَيْمٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ ، عَنِ ا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ خَيْرَ الْحَالِكُمُ الْإِثْمِدُ يَجْلُو الْبَصَرَ ، وَيُنْبِتُ الشَّعْرَ

√ হযরত ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহ আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের জন্য ইছমিদ সুরমা সর্বোৎকৃষ্ট। কারণ, তা দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং অধিক ভ্রু গজায়। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ: বাবু মা-যা আ ফি কুহলে রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-৫২ এবং সুনানে ইবনে মাযাহ, সহিহ ইবনে হিব্বান গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)
* অন্য বর্ণনায় রয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি সুরমাদানি ছিল। প্রতি রাতে উভয় চোখ মুবারকে তিন বার করে সুরমা লাগাতেন। (আশ শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী)

হাদিস শরীফ নং-১৫
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পছন্দনীয় পোষাক ছিল কামিছ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ ، قَالَ أَنْبَتَنَا لفَضْلُ بْنُ مُوسَى، وَأَبُوْ تُمَيْلَةَ ، وَزَيْدُ بْنُ حَبَابٍ، عَنْ عَبْدِ الْمُؤْمِنِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ كَانَ أَحَبَّ الثِيَابِ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْقَمِيصُ

√ হযরত উম্মে সালামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট সর্বাধিক পছন্দনীয় পোষাক ছিল কামিছ। (কামিছ হলো সেলাইকৃত জামা যার দুটি হাতা ও গলাবন্ধ থাকে, যাকে কাপরের নীচে পরিধান করা হয়) (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ: বাবু মা-যা আফি লিবাসী রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-৫৪ এবং সুনানে ইবনে মাযাহতেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-১৬
•রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনাড়ম্বর জীবন-জীবিকা
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُةٌ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا وَعَنْهُمْ قَالَتْ إِنْ كُنَّا آلَ مُحَمَّدٍ نَمْكُثُ شَهْرًا مَا نَسْتَوْقِدُ بِنَارٍ إِنْ هُوَ إِلَّا التَّمْرُ وَالْمَاءُ

√ হযরত আয়িশা সিদ্দিকাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। আমাদের প্রিয় নবীজির পরিবারে কখনো এমনও হতো যে, একমাস পর্যন্ত তাঁর গৃহে চুলায় আগুন জ্বালানো হতো না। শুধু পানি আর খেজুর খেয়ে কাটাতাম। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ:বাবু মা-যা আ ফি আইশী রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-৩৭০ এবং সুনানে তিরমিযি, শরহুস সুন্নাহ লিল বাগভী গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-১৭
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জুতা মুবারক
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَارٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ ، قَالَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ قَالَ قُلْتُ لِأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ : كَيْفَ كَانَ نَعْلُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؟ قَالَ لَهُمَا قِبَالَانِ

√ হযরত কাতাদাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞাস করলাম, নবীপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জুতা মুবারক কেমন ছিল? তিনি বলেন, উভয় জুতা মুবারকে দুইটি করে ফিতা ছিল। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ: বাবু মা-যা আ ফি নাআলী রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-৭৫ এবং সহিহ বুখারী, সুনানে আবু দাউদ, সুনানে তিরমিযি, মুসনাদে আহমাদ গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-১৮
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আংটি মুবারক
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَهْلِ بْنِ عَسْكَرِ الْبَغَدَادِيُّ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَا أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانٍ ، قَالَ أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ، عَنْ شَرِيْكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، عَنِ ابْرَ هِيْمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنِ أَبِيْهِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَعَنْهُمْ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَلْبَسُ خَاتَمَهُ فِي يَمِينِهِ

√ হযরত আলী ইবনে আবি তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ডান হাত মুবারকে আংটি পরিধান করতেন। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ:বাবু মা-যা আ ফি তাখাতামী রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-৯৫ এবং সুনানে আবু দাউদ, সুনানে নাসাঈ, সহিহ ইবনে হিব্বান গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

* অন্য বর্ণনায় রয়েছে- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আংটি মুবারকে লিখিত ছিল “মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ”। (সহিহ বুখারী, সহিহ ইবনে হিব্বান, আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ লিত তিরমিযি)

হাদিস শরীফ নং-১৯
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরবারি
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَارٍ ، قَالَ أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ قَالَ أَنْبَتَنَا أَبِي عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ كَانَتْ قَبِيْعَةُ سَيْفِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ فِضَّةٍ

√ হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরবারি মুবারকের অগ্রভাগ ছিল রৌপ্যের তৈরী। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ: বাবু মা-যা আ ফি সিফাতি সাইফী রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-১০৫ এবং সুনানে আবু দাউদ, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকীতেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-২০
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুদ্ধের পোষাক
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُصَيْفَةً عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَ عَنْهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ عَلَيْهِ يَوْمَ أَحَدٍ دِرْعَانِ قَدْ ظَاهَرَ بَيْنَهُمَا

√ হযরত সায়িব ইবনে য়াযিদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উহুদ যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেহ মুবারকে দুটি লৌহবর্ম ছিল। তিনি ঐ দুটির একটিকে অপরটির উপর পরিধান করেছেন। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ: বাবু মা-যা আ ফি সিফাতী দ্বিরায়ী রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-১১১ এবং সুনানে ইবনে মাযাহ, শারহুস সুন্নাহ গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-২১
• রাসূলুল্লাহ এর পাগড়ী মুবারক
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِي عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ ، قَالَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَعَنْهُمْ ، قَالَ دَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ يَوْمَ الْفَتْحِ عَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ

√ হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন নবীপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কালো পাগড়ী মুবারক পরিহিত অবস্থায় মক্কায় প্রবেশ করেন।
(আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ:বাবু মা-যা আ ফি সিফাতী ইমামাতী রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-১১৪ এবং সহিহ মুসলিম, সুনানে আবু দাউদ, সুনানে নাসাঈ, মুসনাদে আহমাদ, সহিহ ইবনে হিব্বান গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-২২
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যবহৃত চাদর ও লুঙ্গি মুবারক
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ ، قَالَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ قَالَ أَخْرَجَتْ إِلَيْنَا عَائِشَةُ كِسَاءٌ مُلَبَّدًا ، وَإِزَارًا غَلِيظًا، فَقَالَتْ قُبِضَ رُوحُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هُذَيْنِ.

√ হযরত আবু বুরদা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার হযরত আয়িশা সিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা আমাদের সামনে একটি তালিযুক্ত চাদর ও একটি মোটা লুঙ্গি বের করে আনেন। তারপর বললেন, ইন্তিকালের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দুটি কাপড় মুবারক পরিহিত অবস্থায় ছিলেন। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ: বাবু মা-যা আ ফি সিফাতী ইযারী রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-১১৯ এবং সহিহ বুখারী, মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-২৩
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল কাজ ডান দিক থেকে শুরু করতেন
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِي قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَن أَشْعَثِ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ . عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ مَسْرُوقِ ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ إِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيُحِبُّ التَّيَمنَ فِي ظُهُورِهِ إِذَا تَطَهَّرَ وَفِي تَرَجَلِهِ إِذَا تَرَجَّلَ وَفِي انْتِعَالِهِ إِذَا انْتَعَلَ

√ হযরত আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ওযু করতেন তখন ডান দিক থেকে শুরু করতেন, চুল মুবারক বিন্যাস ও জুতা মুবারক পরিধানের কাজও ডান দিক থেকে আরম্ভ করতেন। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ: বাবু মা-যা আফি তারাজ্জুলে রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-৩৪ এবং সহিহ মুসলিম, সুনানে ইবনে মাযাহ, মুসনাদে আহমাদ, মুসনাদে আবু ইয়ালা গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-২৪
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেলাল দিয়ে আহার করতেন না
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ : حَدَّثَنَا شَرِيكَ عَلِي بْنِ الْأَقْمَرِ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةً رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَعَنْهُمْ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : أَمَّا أَنَا فَلَا أَكُلُ مُتَّكِيًّا

√ আবু জুহায়ফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমি হেলান দিয়ে আহার করি না। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ:বাবু মা-যা আ ফি তুকাআতে রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-১৩২ এবং মুসনাদে বাযযার, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, তাবরানী মু’জামুল কাবীর, সহিহ ইবনে হিব্বান)

হাদিস শরীফ নং-২৫
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন আঙ্গুলে খাবার খেতেন
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنِ ابْنِ لِكَعِبِ بْنِ مَالِكِ ، عَنْ أَبِيهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَ عَنْهُمْ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْكُلُ بَأَصَابِعِهِ الثَّلَاثِ وَيَلْعَقُهُنَّ

√ হযরত কাব ইবনে মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন আঙ্গুল মুবারক দ্বারা আহার করতেন এবং তা চুষে নিতেন। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ: বাবু মা-যা আ ফি সিফাতী আক্বলি রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-১৪১ এবং মুসনাদে বাযযার, মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-২৬
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিষ্টি জাতীয় খাবার ও মধু পছন্দ করতেন
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِ، وَسَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ ، قَالُوا أَخْبَرَنَابُو أَسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَ عَنْهُمْ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحِبُّ الْحَلْوَاءَ وَالْعَسَلَ

√ হযরত আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিষ্টি জাতীয় খাবার ও মধু অধিক পছন্দ করতেন। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ:বাবু মা-যা আ ফি সিফাতী ইদ্বামী রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং- ১৬৩ এবং সহিহ বুখারী, সহিহ ইবনে হিব্বান গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

*অন্যান্য বর্ণনা সমূহে যেসব খাবারের কথা উল্লেখ রয়েছে তন্মোধ্যে রয়েছে-নাবিয, কিসমিস, দুধ, জবের রুটি, হায়স (খেজুরের তৈরী মিষ্টান্ন), গোশত, ছাতু, সারিদ, সিরকা। (আশ শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ লিত তিরমিযি)

হাদিস শরীফ নং-২৭
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুরের সাথে তরমুজ খেতেন
حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخُزَاعِيُّ الْبَصْرِيُّ ، قَالَ حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ ، عَنْ سُفْيَانَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَ عَنْهُمْ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَأْكُلُ الْبِطِيخَ بِالرُّطَبِ

√ হযরত আয়িশা সিদ্দিকাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাজা খেজুরের সাথে তরমুজ খেতেন। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ: বাবু মা-যা আফি সিফাতি ফাকিহাতী রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-১৯৮ এবং সুনানে আবু দাউদ, সুনানে ইবনে মাজাহ, সহিহ ইবনে হিব্বান গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-২৮
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন শ্বাসে পানি পান করতেন
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ ، وَيُوْسُفُ بْنُ حَمَّادٍ ، قَالَا حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ. عَنْ أَبِي عِصَامٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَ عَنْهُمْ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَتَنَفْسُ فِي الإِنَاءِ ثَلَاثًا إِذَا شَرِبَ، وَيَقُولُ هُوَ أَمْرَا وَأَرْوَى

√ হযরত আনাস ইবনে মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয় নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পান করতেন তখন তিন বার শ্বাস নিতেন এবং বলতেন, তা অধিক স্বাস্থ্যকর ও অধিকতর তৃপ্তিদানে সহায়ক। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ: বাবু মা-যা আফি সিফাতি শারাবী রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-২১০ এবং সহিহ বুখারী, সহিহ মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ, সহিহ ইবনে হিব্বান, মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-২৯
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুগন্ধি ব্যবহার
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعِ ، وَاحِدٍ ، قَالُوا أَخْبَرَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُخْتَارِ ، عَنْ مُوسَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِيْهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَعَنْهُمْ ، قَالَ كَانَ لِرَسُوْلِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُكَةٌ يَتَطَيَّبُ مِنْهَا

√ হযরত আনাস ইবনে মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আতরদানি ছিল। তিনি তা হতে আতর লাগাতেন। (আশ-শামাইলে মুহাম্মাদীয়া: বাবু মা-যা আফি তাআততুরে রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-২১৬ এবং সুনানে আবু দাউদ, শারহুস সুন্নাহ গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-৩০
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মজাক বা কৌতুক করেও মিথ্যা বলতেন না
حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارِكِ، عَنْ أَسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّكَ تُدَاعِبُنَا . قَالَ إِنِّي لَا أَقُولُ إِلَّا حَقًّا

√ হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তারা (সাহাবায়ে কিরাম) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আমাদের সাথে কৌতুক করছেন? তিনি বলেন, আমি রসিকতারচলেও কখনো সত্য ছাড়া কিছু বলি না। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ: বাবু মা-যা আ ফি সিফাতী মাযাহী রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-২৩৭, মুসনাদে আহমাদ, তাবরানী মু’জামুল আওসাত, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী গ্রন্থেও হাদিসটি উল্লেখ রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-৩১
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমানোর পূর্বে সূরা ইখলাছ, ফালাক ও নাছ পাঠ করতেন
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ ، قَالَ حَدَّثَنَا الْمُفَضَّلُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنْ عُقَيْلٍ، أَرَاهُ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَوَى إِلى فِرَاشِهِ كُلَّ لَيْلَةٍ جَمَعَ كَفَيْهِ فَنَفَثَ فِيهِمَا، وَقَرَا فِيهِمَا قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ وَقُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ وَقُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ، ثُمَّ مَسَحَ بِهِمَا مَا اسْتَطَاعَ مِنْ جَسَدِهِ يَبْدَأُ بِهِمَا رَأْسَهُ وَوَجْهَهُ وَمَا أَقْبَلَ مِنْ جَسَدِهِ ، يَصْنَعُ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ

√ হযরত আয়িশা সিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঘুমানোর জন্য বিছানা মুবারকে যেতেন তখন দু’হাতের তালু মুবারক মিলিয়ে সূরা ইখলাস, ফালাক্ব ও নাস পাঠ করতেন। তারপর উভয় হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে যতটুকু সম্ভব তাঁর শরীর মুবারকে মুছে দিতেন। মুছতে গিয়ে উভয় তালু দিয়ে তাঁর মাথা মুবারক, চেহারা মুবারক এবং তাঁর শরীরের সামনের অংশ মুছতেন। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ:বাবু মা-যা আ ফি সিফাতী নাওমী রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-২৫৭ এবং সহিহ বুখারী, সুনানে আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-৩২
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন
حَدَّثَنَا أَبُو حَفْصٍ عَمْرُو بْنُ عَلِي، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ ، عَنْ رَبِيعَةَ الْجُرَشِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَ عَنْهُمْ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَحَرَّى صَوْمَ الَاثْنَيْنِ وَالْخَمِيْسِ

√ হযরত আয়িশা সিদ্দিকাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবীপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোযার প্রতি খুবই গুরুত্ব দিতেন। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়া: বাবু মা-যা আফি সাওমি রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-৩০৫ এবং সুনানে ইবনে মাযাহ, সুনানে নাসায়ীতেও হাদিসটি রয়েছে।)

* অন্য বর্ণনায় রয়েছে- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, সোমবার ও বৃহস্পতিবার মানুষের আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়। (শারহুস সুন্নাহ লিল বাগভী)

হাদিস শরীফ নং-৩৩
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কুরআন মাজীদ পাঠ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، قَالَ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ ، قَالَ حَدَّ ثَنَا أَبِي عَنْ قَتَادَةَ قَالَ قَلْتُ لِأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ : كَيْفَ كَانَتْ قِرَاءَةً رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؟ فَقَالَ مَدًّا

√ হযরত কাতাদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনে মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কিরআত কেমন ছিল? তিনি বললেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মাদ সহকারে টেনে টেনে পড়তেন। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ:বাবু মা-যা আফি কিরআতি রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-৩১০ এবং সহিহ বুখারী, সুনানে নাসাঈ, মুসনাদে আহমাদ গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-৩৪
• রাসূলুল্লাহ নামাযে কুরআন তিলাওয়াতে ক্রন্দন করতেন
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارِكِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ مُطَرِفٍ وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ اللهِ بْنُ الشَّخِيرِ ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُصَلِّي وَلِجَوْفِهِ أَزِيرٌ كَازِينِ الْمِرْجَلِ مِنَ الْبُكَاءِ

√ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে শিখখীর হতে বর্ণিত। তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে দেখলাম যে, তিনি নামায আদায় করছেন। এমতাবস্থায় তার বরকতময় বক্ষদেশ থেকে এমন কান্নার শব্দ বের হচ্ছে, যেমন জ্বলন্ত চুলার উপর রাখা পানির পাত্র হতে টগবগ শব্দ শোনা যেত। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ: বাবু মা-যা আ ফি বুকায়ী রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং- ৩২২ এবং সুনানে নাসাঈ, মুসনাদে আহমাদ, সহিহ ইবনে খুজাইমা, মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-৩৫
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিছানা মুবারক
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ ، قَالَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَ عَنْهُمْ قَالَتْ إِنَّمَا كَانَ فِرَاشُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي يَنَامُ عَلَيْهِ مِنْ آدَمٍ ، حَشْوُهُ لِيُفٌ

√ হযরত আয়িশা সিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে বিছানায় ঘুমাতেন, তা ছিল চামড়ার। এর ভিতর ছিল খেজুর আশে ভর্তি। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়া:বাবু মা-যা আ ফি ফারাসী রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-৩২৮ এবং সহিহ বুখারী, সুহিহ মুসলিম, সুনানে ইবনে মাযাহ, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, আত তারগীব ওয়াত তারহীব লিল মুনযিরী গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-৩৬
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর লাউ খুব পছন্দনীয় ছিল
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ حَدَّثَنَا مَعَمَّرٌ، عَنْ ثَابِتِ الْبُنَانِي. وَعَاصِمِ الْأَحْوَلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَ عَنْهُمْ ، أَنَّ رَجُلًا خَيَّاطًا دَعَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَرَّبَ مِنْهُ فَرِيدًا عَلَيْهِ دُبَّاءُ ، وَكَانَ رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْخُذُ الدُّبَّاءَ ، وَكَانَ يُحِبُّ الدُّبَاءَ ، قَالَ ثَابِتٌ فَسَمِعْتُ أَنَسًا يَقُولُ فَمَا صُنِعَ لِي طَعَامٌ ، أَقْدَرُ عَلَى أَنْ يُصْنَعَ فِيهِ دُبَّاءُ إِلَّا صُنِعَ

√ হযরত আনাস ইবনে মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। এক দর্জি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দাওয়াত করে। তাঁর খাবারের জন্য লাউ মিশ্রিত সারীদ উপস্থিত করলো। আর লাউ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খুব প্রিয় খাদ্য ছিল। এ জন্য তিনি লাউ খেতে শুরু করেন। সাবিত বলেন, আমি আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, এরপর থেকে আমার জন্য যে তরকারি রান্না করা হতো, তাতে সম্ভব হলে লাউ দেয়া হতো। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ:বাবু মা-যা আফি তাওয়াদুয়ে রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-৩৪১ এবং শুয়াবুল ঈমান লিল বায়হাকী, মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-৩৭
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগামীকালের জন্য কিছু সঞ্চয় করে রাখতেন না
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ. قَالَ أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنُ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَعَنْهُمْ ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لا يَتَّخِرُ شَيْئًا لِغَدٍ

√ হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগামীকালের জন্য কোন কিছু সঞ্চয় করে রেখে দিতেন না। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ: বাবু মা-যা আ ফি খুলুকে রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-৩৫৪ এবং সহিহ ইবনে হিব্বান, শারহুস সুন্নাহ, আত তারগীব ওয়াত তারহীব গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-৩৮
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর লজ্জাশীলতা
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ أَبِي عُتْبَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَ عَنْهُمْ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشَدَّ حَيَاءٌ مِنَ الْعَدْرَاءِ فِي خِدْرِهَا. وَكَانَ إِذَا كَرِهَ شَيْئًا عَرَفْنَاهُ فِي وَجْهِهِ.

√ হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী কারীম পর্দানশীন কুমারী মেয়ের চেয়েও অধিক লজ্জাশীল ছিলেন। কোন কিছু তাঁর অপছন্দ হলে তাঁর চেহারা মুবারক দেখেই আমরা তা বুঝতে পারতাম। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ:বাবু মা-যা আফি হায়ায়ী রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-৩৫৯ এবং সহিহ বুখারী, সহিহ মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ, সহিহ ইবনে হিব্বান গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-৩৯
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাচনভঙ্গি
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ الْبَصْرِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ الْأَسْوَدِ ، عَنِ أَسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَ عَنْهُمْ قَالَتْ مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْرُدُ سَرْدَكُمْ هَذَا ، وَلَكِنَّهُ كَانَ يَتَكَلَّمُ بِكَلَامٍ بَيْنِ فَصْلٍ ، يَحْفَظُهُ مَنْ جَلَسَ إِلَيْهِ

√ হযরত আয়িশা সিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের ন্যায় তাড়াতাড়ি কথা বলতেন না, বরং তিনি ভেঙ্গে ভেঙ্গে স্পষ্টভাবে কথা কথা বলতেন। যারা তাঁর নিকটে থাকতো তা মুখস্ত করে ফেলতো। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ:বাবু কাইফা কানা কালামু রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং-২২৩ এবং মুসনাদে আহমাদ, শারহুস সুন্নাহ গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)

হাদিস শরীফ নং-৪০
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকালের পূর্বে সবকিছু সাদকা করে দেন
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ قَالَ حَدَّثَنَا حُسَيْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، أَخِي جُوَيْرِيَةً رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَ عَنْهُمْ لَهَ صُحْبَةٌ، قَالَ مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا سِلَا حَهُ ، وَبَغْلَتَهُ ، وَأَرْضًا جَعَلَهَا صَدَقَةً

√ আমর ইবনে হারিস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকালের সময় তাঁর হাতিয়ার, একটি খচ্চর এবং কিছু জমি ছাড়া আর কিছু রেখে যাননি, আর সেগুলোও সাদকা করে দেন। (আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ:বাবু মা-যা আ ফি মিরাসী রাসূলিল্লাহ, হাদিস শরীফ নং- ৩৯৯, এবং সহিহ বুখারী, মুসনাদে আহমাদ, সুনানে দারা কুতনী গ্রন্থেও হাদিসটি রয়েছে।)
বিশেষ দ্রষ্টব্য: আশ-শামায়েলুল মুহাম্মাদীয়াহ লিত তিরমিযি মূল গ্রন্থটি আল মাকতাবাতুল ইসলামিয়াহ, বাংলা বাজার, ঢাকা-১১০০ কর্তৃক প্রকাশিত।
-মারকাযে আহলে সুন্নাত বারকাতে রেযা. কুমিল্লা।