صحيح ابن خزيمه 3\ 191 -(1887 )
حدثنا علي بن حجر الساعدي حدثنا يوسف بن زياد حدثنا همام ين يحي عن علي بن زيد بن جدعان عن سعيد بن المسيب عن سلمان قال خطبنا رسول الله صلي الله عليه و سلم في اخر يوم من شعبان فقال ———- وهو شهر اوله رحمة و اوسطه مغفرة واخره عتق من النار الي الخ 1887 التعليق – قال الاعظمي – اسناده ضعيف علي بن زيد بن جدعان ضعيف
অর্থ : হযরত সালমান ফারসী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) শাবান মাসের শেষ দিন আমাদের মাঝে খতিব হিসেবে দাঁড়ালেন এবং বললেন (মাহে রমজান) এমন একটি মাস যার প্রথম ভাগ রহমাত, মধ্যবর্তী ভাগ মাগফেরাত/ক্ষমা আর শেষ ভাগে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
ইবনে খুজাইমা-৩/১৯১, হাদীস-১৮৮৭, শুয়াবুল ঈমান-৫/২২৩, হাদীস-৩৩৩৬। (হাদীসটি অনেক দৈঘ এখানে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো।)
হাদীসটির মান : বিখ্যাত মুহাদ্দেস আল্লামা মুস্তফা আল আজমী ইবনে খুজাইমার তাহকীক করতে গিয়ে বলেন, উক্ত হাদীসটি যয়ীফ (যা ফাজায়েলের ক্ষেত্রে আমল যোগ্য) কেননা উক্ত হাদীসের সূত্রের মাঝে একজন বর্ণনাকারী হলেন ‘‘আলী ইবনে যায়েদ ইবনে জুদআন’’ তিনি একজন দুর্বল বর্ণনাকারী। তাই হাদীসটি যয়ীফ।
এছাড়াও ইমাম আহমদ ইবনে আব্দুল্লাহ আল ইজলী (রহ.) তার সম্পর্কে বলেন- وَقَال أحمد بن عَبْد اللَّهِ العجلي : يكتب حديثه তার হাদীসগুলো সংগ্রহ করার মত আর অনত্র তিনি বলেন- لا بأس به. তার মাঝে কোন সমস্যা নেই।
ইমাম ইয়াকুব ইবনে শায়বা (রহ.) বলেন-وَقَال يعقوب بْن شَيْبَة: ثقة، صالح الحديث তিনি নির্ভরযোগ্য, হাদীসের ক্ষেত্রে সৎ আর বিখ্যাত ইমাম, ইমাম তিরমিযী (রহ.) বলেন-وَقَال التِّرْمِذِيّ : صدوق তিনি সত্যবাদী। তাহযীবুল কামাল-২০/৪৩৯।
উল্লেখ্য যে, এ বিষয়ে হুবহু অর্থে হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে অন্য একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে । যা আল্লামা উকাইলি (রহ.) তার ‘‘আয যুয়াফাউল কাবীরের-২/১৬২ এর মাঝে ও আল্লামা ইবনে আদী (রহ.) আল কামেলের-৩/৩১১ এর মাঝে, ইবনু আবীদ দুনিয়া তার রচিত ‘‘ফাযায়েলে রামজান’’ এর মাঝে ও খতিবে বগদাদী ‘‘আল মু’দেহ’’ এর-২/১৪৭ এর মাঝে عن سلام بن سوار عن مسلمة بن الصلت عن الزهري ، عن أبي سلمة عن أبي هريرة এই সনদে উল্লেখ করেছেন।