জুমআর সানী আজান নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জমানা, এবং আবূ বকর রাঃ এবং উমর রাঃ এর জমানায় ছিল না। সেই সময় জুমআর আজান একটি ছিল। যা খুতবার আগে ইমামের সামনে দরজায় দাঁড়িয়ে দেয়া হতো।
যেমনটি আবূ দাউদের হাদীসে বর্ণিত হয়েছেঃ-
عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ كَانَ يُؤَذَّنُ بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم إِذَا جَلَسَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ
আস-সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমু‘আহর দিন যখন মিম্বারের উপর বসতেন তখন তাঁর সামনে মাসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে আযান দেয়া হতো। আবূ বাকর ও ‘উমার (রাঃ) এর সামনেও অনুরূপ করা হতো। [আবূ দাউদ, হাদীস নং-১০৮৮]
কিন্তু যখন হযরতে উসমান রাঃ এর আমল থেকে জুমআর সানী আজান  চালু হয়, তখন থেকে জুমআর সানী আজান ইমামের সামনে মিম্বরের নিকট দেয়া শুরু হয়।
সুতরাং সানী আজান মানলে তা মিম্বরের কাছে, ইমামের সামনে দেয়াই সুন্নাহ সম্মত।
তবে জেনে রাখতে হবে যে,জুমআর সানী আজান মিম্বরের সামনে, দরজার কাছে, মসজিদের ভিতরে, বারান্দায়, মসজিদের যেকোন স্থানেই দেয়া জায়েজ আছে।
যেহেতু দরজার সামনে দেয়াও জায়েজ আছে। সুতরাং এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়। তবে সুন্নাহ সম্মত আমল মিম্বরের সামনেই দেয়া। অন্যত্র দিলেও সমস্যা নেই।
وإذا صعد الإمام المنبر جلس وأذن المؤذن بين يدى المنبر بذلك جرى التوارث (هداية-1/151، مجمع الأنهر-1/171، ملتقى الأبحر-1/171)
ويؤذن ثانيا بين يديه أى الخطيب
فى رد المحتار، أى على سبيل السنية كما يظهر من كلامهم (رد المحتار-3/98)
إن التأذين عند الخطبة محله عند الإمام وبذلك جرى التوارث على ما قال صاحب الهداية، قلت فبطل بذلك قول من زعم أن التأذين عند الخطبة فى المسجد بدعة (حاشية آثار السنن-2/95، العرف الشذى على هامش الترمذى-1/116)
وكذا فى الهندية-1/149، جديد-1/210، كبيرى، كتاب الصلاة، فصل فى صلاة الجمعة-520، 561، البحر الرائق-2/274، مراقى الفلاح-515)