হাফেজ ছাত্রদের মেহনতের পদ্ধতি,,,
১/ প্রতিদিন ১ পারা করে উস্তাদকে পড়া শুনাবে।
(বিনা লোকমায় বিনা টোকায়)
২/প্রত্যেকটি শব্দ বাক্যকে কমপক্ষে ২০ বার করে বার বার পড়বে, উদাহরণস্বরূপঃ
الحمد لله. الحمد لله. الحمد لله. الحمد لله.الحمد لله…..
.رب العالمين. رب العالمين. رب العالمين. رب العالمين. رب العالمين….
الحمد لله رب العالمين. الحمد لله رب العالمين. الحمد لله رب العالمين…..
এভাবে ২০ বার করে পড়ার পর ১ বার না দেখে পরবে,,,, যদি প্রত্যেকটি হরফ, হরকত, নুকতা, শব্দ, বাক্য, চোখে ভাসে তাহলে ইয়াদ হয়েছে আর না হয় আবার নতুন করে প্রত্যেকটি শব্দ বাক্যকে ১০ বার করে পড়বে। এভাবে ১ পারা ইয়াদ করতে ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট সময় লাগবে।

৩/নিয়মিত কমপক্ষে ১০ পারা তিলাওয়াত দেখে দেখে করবে।
৪/এশার নামাজের পর নিয়মিত ১ পারা নামাজে তিলাওয়াত করবে।
৫/আসরের পর আধা ঘন্টা দুইজন পরষ্পর একে অপরকে কোরআনের যেকোনো যায়গা থেকে প্রশ্ন করবে।

৬/আসরের পর, খাবার সময়,অবসর সময়গুলোতে, বিশ্ববিখ্যাত হাফেজ ক্বারী যারা আছেন যেমনঃ( শায়খ মাহমূদ খলিল আল হুসারী রহঃ,শায়খ মুহাম্মাদ সিদ্দিক আল মিনশাবি রহঃ, শায়খ মুহাম্মাদ আইয়ূব রহঃ,শায়খ রাশেদ মাশারী আল আফাসী, শায়খ আব্দুর রহমান আস সুদাইস ,শায়খ আলী আল হুজাইফী,শায়খ সাউদ বিন ইব্রাহীম আশ শুরাইম, শায়খ বান্দার বালিলাহ,শায়খ মাহের আল মুয়াইকিলি,শায়খ আব্দুল ওয়ালী আরাকানী হাফিজাহুমুল্লাহ ) সহ এধরনের আরো যারা আছেন উনাদের তিলাওয়াত খুব বেশি শুনবে। সম্ভব হলে ভিডিও তিলাওয়াত দেখবে।

৭/ ইজতিমায়ী মশকের ইহতিমাম করবে।
৮/ ইনফিরাদী বা একাকী আন্তর্জাতিক মানের হাফেজ ক্বারী উস্তাদের কাছে গিয়ে দৈনন্দিন এক পৃষ্ঠা করে মশকের মতো শুনাবে।

৯/ফজরের রয়েছে ২ রাকাত সুন্নাত নামাজ,যোহরের ৬ রাকাত, মাগরিবের ২ রাকাত, এশার ২ রাকাত সুন্নাত নামাজ এবং ৩ রাকাত বিতর নামাজ। এই নামাজগুলোর প্রত্যেক রাকাতে এক পৃষ্ঠা করে মোট ১৫ পৃষ্ঠা সুন্নাত এবং বিতর নামাজে তিলাওয়াত করবে।এবং ঘুমানোর সময় সিটে বসে ৫ পৃষ্ঠা তিলাওয়াত করবে, এভাবে ১ পারা তিলাওয়াত পূর্ণ হলো।

১০/ হাটতে, চলতে, উঠতে, বসতে,মনে মনে দিনে রাতে ১ পারা তিলাওয়াত করবে।

১১/ সম্ভব হলে প্রতি সপ্তাহে না হয় অন্তত প্রতি মাসে একবার বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজ পরে নফল নামাজে দাড়াবে এবং শুক্রবার ফজর পর্যন্ত ১৫ পারা অথবা সম্ভব হলে এক খতম নামাজে তিলাওয়াত করবে।
১২/যেকোনো একজন বিশ্ববিখ্যাত হাফেজ ক্বারীর সুর অনুসরণ করে নিজস্ব কিছু সুর সংযোজন করবে ।
১৩/ মাখারিজ,সিফাতসমূহ আয়ত্ত করবে।

১৪/ যথাসম্ভব একজন উস্তাদের কাছেই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার চেষ্টা করবে।

১৫/ অবশ্যই তাহাজ্জুদের নামাজ পরবে।
১৬/খালেস নিয়ত রাখবে।
একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই মহাগ্রন্থ আল কোরআন শিখবে।
১৭/ধারাবাহিকভাবে একাগ্রচিত্তে মেহনত করবে।

১৮/ পড়া লেখার বিষয়ে উস্তাদের পরামর্শ মেনে চলবে।
১৯/ সর্বদা পাক পবিত্র এবং অজু অবস্থায় থাকবে।
বেশি বেশি رب زدني علما পড়বে।
২০/ উত্তম আখলাক,আদব, ইজতিহাদ,এবং ইত্তেবায়ে সুন্নাহর ইহতিমাম করবে***