১। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপনে শরিয়ত সম্মত উপায়ে সাধ্যানুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য একান্ত আবশ্যকীয় কর্তব্য।

। তোমরা তরিকতের কাজ করবে শুধুমাত্র আল্লাহ ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে রাজি করানোর জন্য, অন্য কোনো উদ্দেশ্যে নয়।

। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুহব্বত সব কিছু ও সবারর উর্ধ্বে রেখো।

। ভাল হোক – মন্দ হোক যে কোনো অবস্থায় ও পরিস্থিতিতে ইসলামী শরিয়তের বিধি – বিধান ও অনুশাসন মেনে চলবে।

। যে দরবারেরই হোক না কেন, হক্ব তরিকতপন্থি সবার প্রতি আমরা মুহব্বত রাখি।কারো বিরুদ্ধে তাই কখনো হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করো না।

৬। কাউকে দল ভুক্ত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। দলাদলি করাও উদ্দেশ্য নয়। বরং এ জাতীয় কর্মকান্ড থেকে তোমরা পরহেজ করে চলো।

। আমাদের প্রতি অন্য তরিকত পন্থী ভাইদের যাতে বিদ্বেষ ভাব না জন্মায় সেভাবে চলতে হবে।

। ইলমে তরিকতের শিক্ষা ও অনুশীলন মূলতঃ আখেরাতের সুখ, শান্তি ও কামিয়াবী অর্জনের নিয়ামক। এটা পার্থিব জীবনেরও সুশৃংখল, শান্তিময় এবং পরিমার্জিত করে। তোমরা তাই এর পূর্ণ অনুসরণ করে চলো।

। এদরবারে স্থাপিত মসজিদ ও মাদরাসা হচ্ছে আমার দুনিয়ায় রেখে যাওয়া অমূল্য সম্পদ। আমার অবর্তমানে এ দুয়ের হেফাজতের জিম্মদারী আমি তোমাদের উপর অর্পণ করলাম।

১০। তরিকতের অনুসারীরা তোমরা সবাই পারস্পরিক সৌহার্দ্য – সম্প্রীতি ও মুহব্বত বজায় রেখো। এ সম্পর্ক যাতে কখনও ব্যাহত না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রেখো।

১১। তরিকতের কাজ করতে গিয়ে দুনিয়াবী স্বার্থকে প্রাধান্য দিও না। এটা তোমাদের সার্বিক উন্নতিকে বাধাগ্রস্ত করবে।

১২। ইসলামী কৃষ্টি – সংস্কৃতির সঠিক চর্চাহীনতাই বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের অনৈক্যের মূল কারণ। আর অনৈক্যের কারণে শতধাবিভক্ত মুসলিম শক্তি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছে না। এ অবস্তার পরিবর্তনের সবাইকে সজাগ ও সচেতন ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসতে হবে।

১৩। আমার অবর্তমানে দুই দিনব্যাপী পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাহফিলের বিশাল আয়োজনকে তোমরা অবশ্যই জারী রাখবে। এক্ষেত্রে কামিয়াবী অর্জনের লক্ষ্যে ছাহেবজাদা মওলানা ফখরুদ্দীন কাদের চৌধুরী ও সালাহ উদ্দীন কাদের চৌধুরীকে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাবে। তোমাদের কাছে আমার এ প্রত্যাশা রইল।

২১/০২/২০০৯ ইং শনি বার, কর্মী সম্মেলনে হুজুর কিবলা মঃজিঃআঃ এর নছিহত থেকে।