শামসুল ওলামা গোলাম সালমানী (রহঃ) ও হযরত মাওলানা শাহ্সুফী মাওলানা মিয়া করিম বক্স (রহ.) তারা উভয়েই বেলায়তের জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। পথহারা মানুষের পথের দিশারী ছিলেন। তারা তৎকালীন সময়ের যুগশ্রেষ্ঠ আলিম ও আরেফ ছিলেন। আর তাঁরা উভয়েই চৌদ্দশত শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ইমামুত তরীকত শাহ্সুফী সৈয়্যদ আব্দুল বারী (রহ.) মৃত্যু- ১৯৯০ খ্রি.’র মোজাদ্দেদীয়া তরিকার জাহেরী পীর-মুর্শিদ।
হযরত মাওলানা শাহ্সুফী করিম বক্স (রহ.) সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- হযরত মাওলানা মিয়া করিম বক্স (রহ.)
নিচে হযরত মাওলানা গোলাম সালমানী (রহ.) সম্পর্কে আলোচনা করা হল-
শামসুল ওলামা হযরত মাওলানা গোলাম সালমানি (রহ.):
শামসুল ওলামা হযরত মাওলানা গোলাম সালমানী (রহ.) সবার চেনা। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, তিনি দৈনিক ৪/৫ হাজার লোককে মোলাকাত, শরিয়ত ও তরিকতে তালীম দান করতেন।
শামসুল ওলামা হযরত মাওলানা গোলাম সালমানী (রহ.) সবার চেনা। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, তিনি দৈনিক ৪/৫ হাজার লোককে মোলাকাত, শরিয়ত ও তরিকতে তালীম দান করতেন।
জন্মস্থান:
হযরত মাওলানা গোলাম সালমানি (রহ.) ১৮৫৪ ইং ১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার বিখ্যাত ফুরফুরা শরীফে জন্মগ্রহণ করেন।
হযরত মাওলানা গোলাম সালমানি (রহ.) ১৮৫৪ ইং ১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার বিখ্যাত ফুরফুরা শরীফে জন্মগ্রহণ করেন।
শিক্ষা জীবন:
জন্মস্থানে প্রাথমিক শিক্ষার্জনের পর উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য তৎকালীন সময়ের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ কলিকাতা আলীয়া মাদ্রাসার ভর্তি হয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রী লাভ করেন।
জন্মস্থানে প্রাথমিক শিক্ষার্জনের পর উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য তৎকালীন সময়ের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ কলিকাতা আলীয়া মাদ্রাসার ভর্তি হয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রী লাভ করেন।
কর্মজীবন:
কর্মজীবনে হযরত গোলাম সালমানি (রহ.) প্রথমে হুগলী গবর্ণমেন্ট মোহছেনীয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। তথা হতে বদলী হয়ে কলিকাতা আলীয়া মাদ্রাসায় আসেন এবং মাদ্রাসার পূর্ব দিকে বিবি সালেট মসজিদে তিনি তরীকতের তা’লিম দিতেন। তিনি কয়েক বছর পর কলকাতা মাদ্রাসা হতে হুগলী মাদ্রাসার হেড মাওলানা পদে যোগদান করেন।
কর্মজীবনে হযরত গোলাম সালমানি (রহ.) প্রথমে হুগলী গবর্ণমেন্ট মোহছেনীয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। তথা হতে বদলী হয়ে কলিকাতা আলীয়া মাদ্রাসায় আসেন এবং মাদ্রাসার পূর্ব দিকে বিবি সালেট মসজিদে তিনি তরীকতের তা’লিম দিতেন। তিনি কয়েক বছর পর কলকাতা মাদ্রাসা হতে হুগলী মাদ্রাসার হেড মাওলানা পদে যোগদান করেন।
তরীকত জীবন :
তরীকত জীবনে তিনি হযরত সুফী নুর মোহাম্মদ নিজামপুরী (রহ.)’র খলিফা হযরত সুফী ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহ.)’র মুরিদ ও খলিফা ছিলেন। উল্লেখ্য যে, আল্লামা গাজী শেরে বাংলা (রহ.) দেওয়ানে আজিজের ১৬০ ও ১৬৬ পৃষ্ঠায় হযরত সুফী নুর মোহাম্মদ নিজামপুরী ও হযরত সুফী ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহ.)’র প্রশংসা করেছেন। (সত্যের আলোকপাত, ২৪-২৫ পৃ.)
তরীকত জীবনে তিনি হযরত সুফী নুর মোহাম্মদ নিজামপুরী (রহ.)’র খলিফা হযরত সুফী ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহ.)’র মুরিদ ও খলিফা ছিলেন। উল্লেখ্য যে, আল্লামা গাজী শেরে বাংলা (রহ.) দেওয়ানে আজিজের ১৬০ ও ১৬৬ পৃষ্ঠায় হযরত সুফী নুর মোহাম্মদ নিজামপুরী ও হযরত সুফী ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহ.)’র প্রশংসা করেছেন। (সত্যের আলোকপাত, ২৪-২৫ পৃ.)
ইমামুত তরীকত সৈয়্যদ আবদুল বারী (রহ.)’র সাথে হযরত গোলাম সালমানী (রহ.)’র সম্পর্ক:
আগে উল্লেখ করা হয়েছে, হযরত সৈয়্যদ আব্দুল বারী (রহ.) হযরত মাওলানা মিয়া করিম বক্স (রহ.)’র মুরিদ ছিলেন। মুরিদ হয়ে তরীকতের যাবতীয় কাজ কর্ম আদায় করতে থাকলেন। ইতিমধ্যে সৌভাগ্যক্রমে হযরত মাওলানা গোলাম সালমানী ও হযরত সৈয়্যদ শাহ্ (রহ.)’র মধ্যে সাক্ষাৎ হল। তিনি তৎকালীন সময়ের মোজাদ্দেদীয়া তরীকতের বিখ্যাত অলীয়ে কামেল ছিলেন। হযরত গোলাম সালমানী (রহ.) হযরত সৈয়্যদ আব্দুল বারী (রহ.) কে দেখামাত্র অন্তর দৃষ্টি দ্বারা বুঝে ফেললেন, এ হযরতকে যদি কিছু তা’লীম দেওয়া যায়, তাহলে সিলসিলা জারী থাকবে। এ দিকে লক্ষ্য করে তিনি হযরত সৈয়্যদ শাহ্ (রহ.) কে বললেন, আপনিতো আল্লাহ আল্লাহ করছেন, আসুন, আমিও আপনাকে কিছু তা’লীম দিই। প্রথমত: হযরত সৈয়্যদ শাহ্ (রহ.) অস্বীকৃতি জানালেন, পরে আদব রক্ষার্থে বললেন, ‘নামাজে সময় হলো। তিনি নামাজ পড়ালেন। হযরত সৈয়্যদ শাহ্ (রহ.) নামাজ শেষে বললেন- নামাজের শুরু হতে শেষ পর্যন্ত কোন প্রকারের ওয়াস্ওয়াসা আসেনি।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে হযরত গোলাম সালমানী (রহ.)’র তরীকতের তালীমের প্রতি হযরত সৈয়্যদ শাহ্ (রহ.)’র ঝুঁকে পড়লেন। নিয়মিত তাঁর দরবারে আসা-যাওয়া করতে লাগলেন। লতিফায়ে আশারা শেষ হওয়ার পর তিনি বায়াত হওয়ার জন্য হযরত গোলাম সালমানি (রহ.) দরবারে আরজ পেশ করলেন; কিন্তু তিনি বায়াত করাতে অস্বীকৃতি জানালেন। এতে করে ব্যথাহত অন্তরে নিয়ে বাড়ীতে চলে গেলেন- মোরাকাবা ও জিকির করার জন্য বসলেন। দেখলেন যে, হযরত মোজাদ্দেদ আলফেসানী (রহ.) তশরীফ আনলেন, বললেন, ব্যথিত হওয়ার কারণ কী? হযরত সৈয়্যদ শাহ্ (রহ.) বিস্তারিত ঘটনা বললেন। শুনে হযরত মোজাদ্দেদ আলফেসানী (রহ.) বললেন, ‘ঘাবড়াবেন না। আচ্ছা এখন যান, তিনি বায়াত করাবেন। তখনই তিনি রওয়ানা হলেন। সাক্ষাৎ হলে হযরত গোলাম সালমানী (রহ.) পূর্বের ন্যায় রাগ দেখালে হযরত সৈয়্যদ শাহ্ (রহ.) হযরত মোজাদ্দেদে আলফেসানী (রহ.)’র সাথে ঘটনাটির কথা বললেন। এ ঘটনা শুনানোর পর হযরত গোলাম সালমানী (রহ.) তাকে বায়াত করালেন।
পরবর্তীতে হযরত গোলাম সালমানী (রহ.) হতে হযরত সৈয়্যদ আব্দুল বারী (রহ.) মোজাদ্দেদীয়া তরিকতের খেলাফত লাভ করেন।
আগে উল্লেখ করা হয়েছে, হযরত সৈয়্যদ আব্দুল বারী (রহ.) হযরত মাওলানা মিয়া করিম বক্স (রহ.)’র মুরিদ ছিলেন। মুরিদ হয়ে তরীকতের যাবতীয় কাজ কর্ম আদায় করতে থাকলেন। ইতিমধ্যে সৌভাগ্যক্রমে হযরত মাওলানা গোলাম সালমানী ও হযরত সৈয়্যদ শাহ্ (রহ.)’র মধ্যে সাক্ষাৎ হল। তিনি তৎকালীন সময়ের মোজাদ্দেদীয়া তরীকতের বিখ্যাত অলীয়ে কামেল ছিলেন। হযরত গোলাম সালমানী (রহ.) হযরত সৈয়্যদ আব্দুল বারী (রহ.) কে দেখামাত্র অন্তর দৃষ্টি দ্বারা বুঝে ফেললেন, এ হযরতকে যদি কিছু তা’লীম দেওয়া যায়, তাহলে সিলসিলা জারী থাকবে। এ দিকে লক্ষ্য করে তিনি হযরত সৈয়্যদ শাহ্ (রহ.) কে বললেন, আপনিতো আল্লাহ আল্লাহ করছেন, আসুন, আমিও আপনাকে কিছু তা’লীম দিই। প্রথমত: হযরত সৈয়্যদ শাহ্ (রহ.) অস্বীকৃতি জানালেন, পরে আদব রক্ষার্থে বললেন, ‘নামাজে সময় হলো। তিনি নামাজ পড়ালেন। হযরত সৈয়্যদ শাহ্ (রহ.) নামাজ শেষে বললেন- নামাজের শুরু হতে শেষ পর্যন্ত কোন প্রকারের ওয়াস্ওয়াসা আসেনি।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে হযরত গোলাম সালমানী (রহ.)’র তরীকতের তালীমের প্রতি হযরত সৈয়্যদ শাহ্ (রহ.)’র ঝুঁকে পড়লেন। নিয়মিত তাঁর দরবারে আসা-যাওয়া করতে লাগলেন। লতিফায়ে আশারা শেষ হওয়ার পর তিনি বায়াত হওয়ার জন্য হযরত গোলাম সালমানি (রহ.) দরবারে আরজ পেশ করলেন; কিন্তু তিনি বায়াত করাতে অস্বীকৃতি জানালেন। এতে করে ব্যথাহত অন্তরে নিয়ে বাড়ীতে চলে গেলেন- মোরাকাবা ও জিকির করার জন্য বসলেন। দেখলেন যে, হযরত মোজাদ্দেদ আলফেসানী (রহ.) তশরীফ আনলেন, বললেন, ব্যথিত হওয়ার কারণ কী? হযরত সৈয়্যদ শাহ্ (রহ.) বিস্তারিত ঘটনা বললেন। শুনে হযরত মোজাদ্দেদ আলফেসানী (রহ.) বললেন, ‘ঘাবড়াবেন না। আচ্ছা এখন যান, তিনি বায়াত করাবেন। তখনই তিনি রওয়ানা হলেন। সাক্ষাৎ হলে হযরত গোলাম সালমানী (রহ.) পূর্বের ন্যায় রাগ দেখালে হযরত সৈয়্যদ শাহ্ (রহ.) হযরত মোজাদ্দেদে আলফেসানী (রহ.)’র সাথে ঘটনাটির কথা বললেন। এ ঘটনা শুনানোর পর হযরত গোলাম সালমানী (রহ.) তাকে বায়াত করালেন।
পরবর্তীতে হযরত গোলাম সালমানী (রহ.) হতে হযরত সৈয়্যদ আব্দুল বারী (রহ.) মোজাদ্দেদীয়া তরিকতের খেলাফত লাভ করেন।
ইন্তিকাল:
শামসুল ওলামা হযরত মাওলানা গোলাম সালমানী (রহ.) দীর্ঘদিন শরিয়ত তরীকতের খেদমত আঞ্জামদানের পর ১৯১২ ইং সনে ১ জুলাই ইন্তিকাল করেন।
চৌদ্দশত শতাব্দীর মোজাদ্দিদ ইমামুত তরীকত শাহ্ সৈয়্যদ আব্দুল বারী (রহ.)’র পীর সাহেবদ্বয়ের সংক্ষিপ্ত জীবনী হতে কিছু শিক্ষনীয় বিষয় হলো:
১. পীর-মুর্শিদের ছোহবতে যেতে হবে ঈমান আমল হেফাজতের জন্য।
২. নে-নাজামী, শরীয়ত বিরোধী তরীকত ও পীর-মুরিীদ পরিহার করতে হবে।
৩. নিজের আহল ও আয়ালকে হক্কানী পীর মাশায়েখদের দরবারে নিয়ে তরীকতের তালীম দিতে হবে।
৪. তরীকত হলো সম্পূর্ণ আদব। যার যত আদব বেশি, তরীকতে তার উন্নতি বেশী। আলহামদুলিল্লাহ্!
শফিকীয়া দরবার শরীফের মুর্শিদে আজম মুহিউস্ সুন্নাহ্, উস্তাজুল আসাতেজা, হযরতুলহাজ্ব আল্লামা হুজুর কিবলায়ে আলম দামাত্ ফুয়ুজুহুমুল কুদ্সীয়্যাহ হযরত মাওলানা মিয়া করিম বক্স (রহ.), শামসুল ওলামা গোলাম সালমানী (রহ.) ও ইমামুত তরীকত সৈয়্যদ আব্দুল বারী শাহ্ (রহ.)’র সিলসিলার উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে শরীয়ত ও তরীকতের খেদমত করে যাচ্ছেন একসময় যারা চোর-ডাকাত, সন্ত্রাসী, বেনামাজী ও বাতিল ফেরকার অনুসারী ছিলো, তারা এখন নিয়মিত নামাজ-কালাম, তাসবীহ-তাহলীল, মিলাদ ক্বিয়াম, ঈদে মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম ইত্যাদি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত সমর্থিত সকল কার্যক্রম পালন করে যাচ্ছেন। এ কার্যক্রম ঘরে ঘরে, গ্রামে-গঞ্জে, দেশ-দেশান্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করলেন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুনিরুল উলুম বারীয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, আঞ্জুমানে বারীয়া মুনিরীয়া আহমদিয়া বাংলাদেশ, বারীয়া শফিকুল মুনীর যুব কমিটি বাংলাদেশ ও বারীয়া শফিকুল মুনীর ওলামা পরিষদ বাংলাদেশ ও বারীয়া শফিকুল মুনীর ছাত্র পরিষদ বাংলাদেশ।
আল্লাহ্! হুজুর কেবলার যাবতীয় বিমারীকে শেফা দান করুন। তাকে হায়অতে খিজরী আতা করুন, আমীন। বেহুরমতে সাইয়্যিদিল মুরসালিন।
তথ্যসূত্র:
১. সত্যের আলোকপাত।
২. আয়িনায়ে ওয়াইসী।
৩. শানে ওয়াইসী।
৪. জীবনী : ইমামুত্ তরীকত সৈয়্যদ আব্দুল বারী শাহ্ (রহ.)
৫. আয়না-ই-মুনিরী
৬. জীবনী-শায়খুত্ তরীকত হযরত হাফেজ হামেদ হাসান আলভী আজমগড়ী (রহ.)
৭. বাংলাদেশের পীর আউলিয়াগণ।
৮. তাজকিরাতুল আউলিয়া।
শামসুল ওলামা হযরত মাওলানা গোলাম সালমানী (রহ.) দীর্ঘদিন শরিয়ত তরীকতের খেদমত আঞ্জামদানের পর ১৯১২ ইং সনে ১ জুলাই ইন্তিকাল করেন।
চৌদ্দশত শতাব্দীর মোজাদ্দিদ ইমামুত তরীকত শাহ্ সৈয়্যদ আব্দুল বারী (রহ.)’র পীর সাহেবদ্বয়ের সংক্ষিপ্ত জীবনী হতে কিছু শিক্ষনীয় বিষয় হলো:
১. পীর-মুর্শিদের ছোহবতে যেতে হবে ঈমান আমল হেফাজতের জন্য।
২. নে-নাজামী, শরীয়ত বিরোধী তরীকত ও পীর-মুরিীদ পরিহার করতে হবে।
৩. নিজের আহল ও আয়ালকে হক্কানী পীর মাশায়েখদের দরবারে নিয়ে তরীকতের তালীম দিতে হবে।
৪. তরীকত হলো সম্পূর্ণ আদব। যার যত আদব বেশি, তরীকতে তার উন্নতি বেশী। আলহামদুলিল্লাহ্!
শফিকীয়া দরবার শরীফের মুর্শিদে আজম মুহিউস্ সুন্নাহ্, উস্তাজুল আসাতেজা, হযরতুলহাজ্ব আল্লামা হুজুর কিবলায়ে আলম দামাত্ ফুয়ুজুহুমুল কুদ্সীয়্যাহ হযরত মাওলানা মিয়া করিম বক্স (রহ.), শামসুল ওলামা গোলাম সালমানী (রহ.) ও ইমামুত তরীকত সৈয়্যদ আব্দুল বারী শাহ্ (রহ.)’র সিলসিলার উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে শরীয়ত ও তরীকতের খেদমত করে যাচ্ছেন একসময় যারা চোর-ডাকাত, সন্ত্রাসী, বেনামাজী ও বাতিল ফেরকার অনুসারী ছিলো, তারা এখন নিয়মিত নামাজ-কালাম, তাসবীহ-তাহলীল, মিলাদ ক্বিয়াম, ঈদে মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম ইত্যাদি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত সমর্থিত সকল কার্যক্রম পালন করে যাচ্ছেন। এ কার্যক্রম ঘরে ঘরে, গ্রামে-গঞ্জে, দেশ-দেশান্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করলেন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুনিরুল উলুম বারীয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, আঞ্জুমানে বারীয়া মুনিরীয়া আহমদিয়া বাংলাদেশ, বারীয়া শফিকুল মুনীর যুব কমিটি বাংলাদেশ ও বারীয়া শফিকুল মুনীর ওলামা পরিষদ বাংলাদেশ ও বারীয়া শফিকুল মুনীর ছাত্র পরিষদ বাংলাদেশ।
আল্লাহ্! হুজুর কেবলার যাবতীয় বিমারীকে শেফা দান করুন। তাকে হায়অতে খিজরী আতা করুন, আমীন। বেহুরমতে সাইয়্যিদিল মুরসালিন।
তথ্যসূত্র:
১. সত্যের আলোকপাত।
২. আয়িনায়ে ওয়াইসী।
৩. শানে ওয়াইসী।
৪. জীবনী : ইমামুত্ তরীকত সৈয়্যদ আব্দুল বারী শাহ্ (রহ.)
৫. আয়না-ই-মুনিরী
৬. জীবনী-শায়খুত্ তরীকত হযরত হাফেজ হামেদ হাসান আলভী আজমগড়ী (রহ.)
৭. বাংলাদেশের পীর আউলিয়াগণ।
৮. তাজকিরাতুল আউলিয়া।