হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমরা সফরে চলছিলাম। (পথিমধ্যে) অবতরণ করলাম। তখন একটি বালিকা এসে বলল, এখানকার গোত্র প্রধানকে সাপে কেটেছে। আমাদের পুরুষগণ অনুপস্থি। অতএব, আপনাদের মধ্যে এমন কেউ আছেন কি, যিনি ঝাড়-ফুঁক করতে পারেন? তখন আমাদের মধ্য থেকে একজন ঐ বালকাটির সঙ্গে গেলেন। যদিও আমরা ভাবিনি যে, সে ঝাড়-ফুঁক জানে। এরপর সে ঝাড়-ফুঁক করল এবং গোত্রপ্রধান সুস্থ্য হয়ে উঠল। এতে সর্দার খুশী হয়ে তাকে ত্রিশটি বক্‌রী দান করলেন এবং আমাদের সকলকে দুধ পান করালেন। ফিরে আসার পথে আমরা জিজ্ঞেস করলাম, তুমি ভালভাবে ঝাড়-ফুঁক করতে জানো (অথবা রাবীর সন্দেহ) তুমি কি ঝাড়-ফুঁক করতে পার?সে উত্তর করল, না আমি তো কেবল উম্মুল কিতাব সূরা ফাতিহা দিয়েই ঝাড়-ফুঁক করেছি। আমরা তখন বললাম, যতক্ষণ না আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে পৌঁছে তাঁকে জিজ্ঞেস করি ততক্ষণ কেউ কিছু বলবে না। এরপর আমরা মদিনায় পৌছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ঘটনাটি তুলে ধরলাম। তিনি বললেন, সে কেমন করে জানল যে, তা (সূরা ফাতিহা) চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে? তোমরা নিজেদের মধ্যে এগুলো বন্টন করে নাও এবং আমার জন্যও একাংশ রাখো। আবূ মা’মার … আবূ সাঈদ থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। বোখারী শরীফ হাদিস নং ৪৬৪১ ইফাবা