হযরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু নবীপ্রেমে বিভোর ছিলেন।

হযরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু খিলাফতকালে একদিন তাঁর ছেলে হযরত আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর সাথে হযরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুর একটি বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে হযরত ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর ছেলেকে গোলামের বাচ্ছা বলেন। তিনি রাগান্বিত হয়ে পিতার নিকট নালিশ দেন। এতে হযরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু সকল সাহাবীদেরকে ডেকে সভা আহবান করেন। মদীনার সকল লোকেরা ভীত হয়ে গেল; কোনো অপ্রীতেকর ঘটনা ঘটে যায় কি-না। কারণ হযরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু খুবই জালালী মেজাজের ছিলেন। সভায় উপস্থিত সকলের সামনে হযরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি অকপটে স্বীকার করে নেন। তখন হযরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁকে তা একটি কাগজে লিখে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। হযরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু তা লিখে দেন। হযরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এলেখাটি পাওয়া মাত্র হাতে নিয়ে সবাইকে এবলে অসিয়ত করে যান যে, তোমরা আমার মৃত্যুর পর কাফনের ভিতর উক্ত লেখাটি ঢুকিয়ে আমাকে দাফন করিও। কিয়ামতের মাঠে যদি আমার কোনো আমল কোনো কাজে না আসে তাহলে আমি উমর যেন আল্লাহর দরবারে এপ্রার্থনা করতে পারি, ইয়া আল্লাহ! আমি নবীজির আওলাদের পক্ষ থেকে গোলামের সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছি। কাজেই আল্লাহ! আমাকে মাফ করে দিন।

এছিল নবী ও নবী পরিবেরের প্রতি সাহাবায়ে কেরাম হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা।